বিনোদন ডেস্ক »
প্রায় দুই বছর আগে মেহের আফরোজ শাওন ও চঞ্চল চৌধুরীর গাওয়া ‘সর্বত মঙ্গল রাঁধে’ গানটি ব্যাপক দর্শকপ্রিয়তা পায়। তখন গানটির কপিরাইট স্বত্ত্ব নিয়ে অভিযোগ ওঠে। এর কপিরাইট দাবি করে সরলপুর ব্যান্ড। সেসময় বিতর্কের মুখে শাওন-চঞ্চলের গাওয়া গানটি ইন্টারনেট থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়।
অবশেষে ময়মনসিংহ গীতিকার জনপ্রিয় গান ‘সর্বত মঙ্গল রাঁধে’র বেশ কয়েকটি লাইন চুরি করে নিজেদের তৈরি করা ‘যুবতী রাঁধে’ গানের সঙ্গে যুক্ত করার অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় সরলপুর ব্যান্ডের কপিরাইট স্বত্ত্ব বাতিল করা হয়েছে। এমনটাই জানিয়েছেন বাংলাদেশ কপিরাইট অফিস।
জানা যায়, আইনি প্রক্রিয়ায় গানটির কপিরাইট নিজেদের নামে করে নিয়েছে সরলপুর। এই গান ময়মনসিংহ গীতিকার উল্লেখ করে সরলপুরের কপিরাইট বাতিল চায় আইপিডিসি। তাদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে গতকাল বুধবার শুনানি শেষে সরলপুরের কপিরাইট বাতিল করে দেয় পাঁচ সদস্যের বোর্ড।

বাংলাদেশ কপিরাইট অফিস বলছে, অনৈতিকভাবে কপিরাইট নিয়েছিল সরলপুর। গানটির ১২টি লাইন পুরোটাই চুরি করা।
কপিরাইট রেজিস্ট্রার জাফর রাজা চৌধুরী গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, চৌর্যবৃত্তির অপরাধে সরলপুরের নেওয়া ‘সর্বত মঙ্গল রাধে’র কাপিরাইট বাতিল করা হয়েছে। তিনি আরো জানান, অন্যের গান মৌলিক দাবি করে কপিরাইট নেওয়ায় ‘সরলপুর’ কপিরাইট আইনের ৮৮ ও ৮৯ ধারা ভঙ্গ করেছে। নিয়ম অনুযায়ী, তাদের বিরুদ্ধে অর্থদণ্ড ও জেলের বিধানও ছিল। কিন্তু এ বিষয়ে যেহেতু কেউ দাবি জানায়নি। তাই কপিরাইট অফিস ব্যবস্থা নিচ্ছে না।
জানা যায়, কপিরাইট আইন ভাঙলে সর্বোচ্চ ৪ লাখ টাকা ও সর্বনিম্ন ৫০ হাজার টাকা জরিমানা এবং সর্বোচ্চ ২ বছরের জেল ও সর্বনিম্ন ৬ মাসের জেলের বিধান রয়েছে।
এর আগে ‘যুবতী রাধে’ গানকে ‘সংগৃহিত’ বলে উল্লেখ করে কণ্ঠশিল্পী সুমি মির্জা লেজার ভিশনের ব্যানারে ইউটিউবে প্রকাশ করেছিলেন। তখন কপিরাইট অফিসে দুই পক্ষের শুনানিতে সুমি মির্জা গানটিকে ময়মনসিংহ গীতিকার পালা বলে দাবি করলেও তার সত্যতা না পাওয়ায় সরলপুরকে কপিরাইট সনদ প্রদান করে কপিরাইট অফিস। পরে গানটি নিয়ে সুমি মির্জার সঙ্গে সরলপুর ব্যান্ডের দ্বন্দ্ব আদালত পর্যন্ত গড়িয়েছিল।













