২ নভেম্বর ২০২৫

সশস্ত্র বাহিনীর আধুনিকায়নে কাজ করছে সরকার : প্রধানমন্ত্রী

বাংলাধারা ডেস্ক »

সশস্ত্র বাহিনীর আধুনিকায়নে বর্তমান সরকার সর্বাত্মকভাবে কাজ করে যাচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এজন্য সরকার বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে বলে জানান তিনি।

রোববার গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সে সাভার সেনানিবাসে অনুষ্ঠিত সেনাবাহিনীর ১০টি ইউনিট ও সংস্থাকে জাতীয় পতাকা প্রদান অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী। গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সে অনুষ্ঠানে যুক্ত হন সরকারপ্রধান।

শেখ হাসিনা বলেন, একুশ শতকের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় সশস্ত্র বাহিনীকে আধুনিক যুগোপযোগী করতে সরকার বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে।

দেশের অর্থনৈতিক উন্নতিই আ.লীগের লক্ষ্য এমন মন্তব্য করে সরকারপ্রধান বলেন, করোনার মধ্যেও বাংলাদেশে খাদ্যের সংকট নেই। উৎপাদন যেন ব্যাহত না হয় সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে।

শেখ হাসিনা বলেন, করোনায় শুধুমাত্র বাংলাদেশে নয় সারা বিশ্বে স্থবিরতা বিরাজ করছে। করোনার কারণে অর্থনীতি যেন স্থবির না হয়, মানুষ যেন ক্ষতিগ্রস্ত না হয় সেজন্য শুরু থেকেই আমরা ব্যবস্থা নিয়েছি। দেশের অর্থনৈতিক চাকা সচলে বিশেষ প্রণোদনা দিয়েছি। সঠিক সময়ে সঠিক পদক্ষেপ নেয়ার কারণে করোনাকালেও দেশে খাদ্যের সংকট দেখা দেয়নি।

দেশে খাদ্য উৎপাদন আরও বাড়ানোর তাগিদ দিয়ে সরকারপ্রধান বলেন, ‘খাদ্য সংকট যাতে দেখা না দেয়। করোনার কারণে বিশ্বব্যাপী একটা খাদ্য মন্দা দেখা দিচ্ছে। অনেক উন্নত দেশও হিমশিম খাচ্ছে। বাংলাদেশে আমরা সঠিক সময়ে যথাযথ পদক্ষেপ নিয়েছিলাম বলেই আজকে সেই সমস্যাটা আমাদের দেখা দিচ্ছে না। কিন্তু ভবিষ্যতের জন্য খাদ্য উৎপাদন বাড়ানোর বিকল্প নেই।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা চাই শান্তি। আমাদের মূল লক্ষ‌্য দেশের সার্বিক উন্নতি। আমরা বিশ্ব শান্তিতে বিশ্বাস করি। শান্তি ও নিরাপত্তা রক্ষায় কাজ করতে চায় বাংলাদেশ। সংবিধানকে সমুন্নত রেখে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাবো।

করোনা প্রদুর্ভাব আবার বাড়তে পারে আশঙ্কা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব আবার বাড়লে প্রচুর অর্থের প্রয়োজন হবে। তাই অর্থ সাশ্রয়ে, বাজেটের অর্থ ব্যয়ে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সর্বোচ্চ মিতব্যয়ী হতে হবে। আমাদের মিতব্যয়ী হতে হবে। ঠিক যেটুকু এখন আমাদের নেহায়েত প্রয়োজন তার বেশি কোনও পয়সা খরচ করা চলবে না।’

সরকারি অর্থ ব্যয়ের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্টদের মিতব্যয়ী হওয়ার নির্দেশ দিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, ‘কোভিড-১৯ এর এই সংকটময় সময়েও মানুষের কল্যাণে আমরা নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছি। এবার ৫ লাখ ৬৮ হাজার কোটি টাকার বাজেট দিয়েছি। যেটা দেওয়া খুবই কঠিন ছিল। তবু আমরা দিয়েছি, তারপরও বলেছি যে অর্থ খরচের ব্যাপারে সবাইকে একটু সচেতন থাকতে হবে। কারণ করোনাভাইরাস যদি আবার ব্যাপক হারে দেখা দেয় তাহলে আমাদের প্রচুর অর্থের প্রয়োজন হবে।’

বাংলাধারা/এফএস/এএ

আরও পড়ুন

এ সম্পর্কিত আরও

সর্বশেষ