বাংলাধারা প্রতিবেদন »
কোনও খেলাতে যখন সাকিব আল হাসানের কারণে বাংলাদেশ জয়ের দেখা পেতো তখন বাংলাদেশের ক্রিকেট ভক্তরা আনন্দে মেতে উঠতো। কারো কারো চোখে এসে পড়তো আনন্দ অশ্রু। কিন্তু আজ যখন আন্তর্জাতিক ক্রিকেট সংস্থার (আইসিসি) আইনের বেড়া জালে ফেঁসে গেলো বাংলাদেশের সেই জীবন্ত কিংবদন্তি তখন তার এই কষ্টে সমব্যাথী হয় পুরো বাংলাদেশ। আজ যেনো সাকিবের জন্য কাঁদছে পুরো বাংলাদেশ।
২০১২ সালের এশিয়া কাপ ফাইনালের কথা কি মনে আছে? দলকে জেতাতে না পেরে সেদিন মাঠের মধ্যেই কেঁদে ফেলেছিলেন বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব।
শুধু কি এশিয়া কাপ! ২০১৭ সালে চ্যাম্পিয়নস ট্রফির সেমিফাইনালেও বাংলাদেশ উঠেছিলো তারই হাত ধরে। ইংল্যান্ডের কার্ডিফে নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষের ম্যাচটিতে যখন প্রায় ভরাডুবি খেতে নিয়েছিলো টাইগার দল। ঠিক তখনই সাকিব ও মাহমুদুল্লাহর জোড়া সেঞ্চুরির সাহায্যে চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে প্রথম সেমি ফাইনালে প্রবেশ করার সুযোগ পেয়ে যায় বাংলাদেশ ক্রিকেট দল।
ব্যাটে বলে নয়। সাকিব লড়াই করে গেছেন মাঠের বাহিরে থেকেও। আমাদের সবারই মনে আছে নিদাহাস ট্রফির কথা। ত্রিদেশীয় সিরিজে ডু অর ডাই ম্যাচে ক্রিকেট মাঠে যখন শ্রীলঙ্কা একের পর এক অনিয়ম করেই যাচ্ছিলো ঠিক তখনও ড্রেসিং রুম থেকে বের হয়ে প্রতিবাদ করতে মাঠে একাই নেমে পড়েন এই সাকিব আল হাসান।
সাকিব আল হাসানের বিষয়ে আইসিসি’র এ সিদ্ধান্তের কথা জেনে ক্ষুদ্ধ প্রতিক্রিয়া জানায় ঢাবি’র শিক্ষার্থীরা। একই চিত্র দেখা গেছে শেরে বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়েও। আলাপকালে কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মোহাম্মদ ইউনুস আলি কান্নাজড়িত কন্ঠে জুমবাংলাকে বলেন, ‘সাকিবের জন্য সত্যিই বুক ফেটে কান্না আসছে। কি করব বুঝতে পারছি না। এ ঘটনায় শুধু সাকিব নয় পুরো বাংলাদেশ ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে।
২০১৯ সালের বিশ্বকাপে পুরো বাংলাদেশ দল ফটো সেশন করতে মিরপুর স্টেডিয়ামে উপস্থিত হলেও, উপস্থিত ছিলেন না সাকিব। আর এতেই অনেকেই বাজে মন্তব্যও করে বসেছিলো দেশের ক্রিকেট ভক্তরা। সবার মনে একটাই প্রশ্ন ছিলো, সাকিব কেনো ফটো সেশনে আসলেন না?
অনেকেই তখন সাকিবকে একজন সত্যিকার অর্থে বেয়াদব বলে আখ্যায়িত করতেও দেখা গিয়েছে। ফটো সেশনে অংশগ্রহণ না করার জন্য যারা সাকিবের সমালোচনা নিয়ে ব্যস্ত যারা মরিয়া হয়ে ছিলেন। ঠিক তখনই বিশ্বকাপ শুরু হবার পর সেসব ভক্তদের মুখে চুন কালি মেখে দিয়েছিলেন ব্যাট হাতে মাঠে পারফর্ম করে।
বাংলাধারা/এফএস/টিএম













