কক্সবাজার প্রতিনিধি »
অবৈধভাবে মালয়েশিয়া নিয়ে যাওয়ার জন্য জড়ো করা ২৬ রোহিঙ্গা নারী-পুরুষকে টেকনাফ উপকূল থেকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ সময় পাচারে জড়িত এক নারীসহ ৫ দালালকেও আটক করা হয়।
বৃহস্পতিবার (১২ জানুয়ারি) ভোররাতে টেকনাফের মহেশখালী পাড়ার উপকূল এলাকা থেকে তাদের উদ্ধার ও পাঁচ দালালকে আটক করা হয় বলে জানিয়েছেন টেকনাফ মডেল থানার ওসি আব্দুল হালিম। এ ঘটনায় ২৫ জনকে আসামি করে মানবপাচার আইনে মামলা হয়েছে বলেও জানান ওসি।
আটক দালালরা হলেন, টেকনাফের মহেশখালী পাড়ার সাবেকুন্নাহার (২৩) একই এলাকার নুরুল ইসলাম (৬০), টেকনাফের শাহপরীর দ্বীপ মাঝেরপাড়ার আবদুর রহিম (৩৫) একই এলাকার জাহেদ হোসেন (২৯) ও উখিয়ার কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্পের জাহেদ হোসেন (২০)।
ওসি আব্দুল হালিম জানান, রোহিঙ্গাদের একটি দলকে সাগরপথে অবৈধভাবে মালয়েশিয়া ও থাইল্যান্ড পাচারের প্রস্তুতি নিচ্ছে পাচারকারীরা, এমন খবর পেয়ে তিনিসহ পুলিশের দল টেকনাফের উপকূল মহেশখালী পাড়ায় অভিযান চালান।
এ সময় স্থানীয় শফিকের বসত ঘর থেকে ১৭ জন পুরুষ, ৪ জন নারী, ৫ জন শিশুসহ ২৬ জনকে উদ্ধার করা হয়। পাশপাশি পাচারে জড়িত এক নারীসহ পাচঁ দালালকেও আটক হয়। এ সময় নগদ কিছু টাকাসহ তাদের ব্যবহৃত ট্রলারটি জব্দ করা হয়েছে।
আটক রোহিঙ্গাদের বরাত দিয়ে তিনি জানান, রোহিঙ্গাদের সমুদ্র পাড়ি দিয়ে মালয়েশিয়া ও থাইল্যান্ডে নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা ছিল দালালচক্রের। আটক দালালদের মধ্যে চারজন বাংলাদেশি। উদ্ধার হওয়া ২৬ জন রোহিঙ্গাই উখিয়ার কুতুপালং-বালুখালী ক্যাম্পের বাসিন্দা।
ওসি আরো জানান, এ ঘটনায় ১৮ জনের নাম উল্লেখ করে ৭-৮ জনকে অজ্ঞাত সহযোগী দেখিয়ে মানবপাচার আইনে মামলা করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার দুপুরে আসামীদের গ্রেফতার দেখিয়ে কক্সবাজার আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। এসময় উদ্ধার ভিকটিমদেরও আদালতে হস্তান্তর করা হয়। সেখান থেকে সংশ্লিষ্টদের মাধ্যমে হয়তো তাদের পুনঃরায় ক্যাম্পে পাঠানো হতে পারে বলে উল্লেখ করেন ওসি আবদুল হালিম।













