বাংলাধারা প্রতিবেদন »
বর্তমান বাস্তবতায় রাষ্ট্রের কল্যাণমুখী চরিত্রের প্রকাশ ও রুপান্তর প্রয়োজন। সামাজিক সুরক্ষা কৌশলের ধারাবাহিকতায় এ বিষয়ে একটি সার্বজনীন সামাজিক সুরক্ষা কাঠামো ও কর্মসূচি দরকার। এজন্য ইউনিভার্সাল সোশ্যাল প্রোটাকশন (ইউএসপি) গ্রহণ করতে হবে। এর মাধ্যমে করোনা মহামারির মত আপদকালীন আয় ও খাদ্য নিরাপত্তা, মৌলিক স্বাস্থ্য ও শিক্ষার সুযোগ-সুবিধা ইত্যাদি নিশ্চিত করা সম্ভব।
মঙ্গলবার (২৭ অক্টোবর) স্থায়ীত্বশীল উন্নয়নের জন্য সংগঠন ইপসার প্রধান কার্যালয়ে আয়োজিত করোনাকালীন জীবন-জীবিকা পুনরুদ্ধার শীর্ষক মিডিয়া সংলাপে এসব কথা বলে বক্তারা।
গণতান্ত্রিক বাজেট আন্দোলন চট্টগ্রাম জেলা শাখার উদ্যোগে আয়োজিত এ সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইপসার প্রধান নির্বাহী মো. আরিফুর রহমান।
গণতান্ত্রিক বাজেট আন্দোলন চট্টগ্রাম জেলা কমিটির সহ সভাপতি সাংবাদিক এম নাসিরুল হকের সভাপতিত্বে এবং ইপসার সিনিয়র প্রোগ্রাম অফিসার মো. ওমর শাহেদ হিরোর সঞ্চালনায় সভায় চট্টগ্রামে কর্মরত বিভিন্ন উন্নয়ন সংস্থার প্রতিনিধি ও সাংবাদিকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
বক্তারা বলেন, বর্তমানে দেশে ১৪৫ সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচি চালু রয়েছে। কিন্তু এর মধ্যে শুধুমাত্র ৭ টি নগর দরিদ্রদের জন্য। সামাজিক সুরক্ষা কাঠামো ও কর্মসূচির আওতায় সারা বছর প্রতিটি গ্রামীণ পরিবারকে মাসে কমপক্ষে ৫০০০ টাকা নগদ সহায়তা এবং নগর দরিদ্র পরিবারের জন্য মাসে কমপক্ষে ৮০০০ টাকা নগদ সহায়তা দেওয়া আহ্বান জানানো হয় সভা থেকে।
সামাজিক সুরক্ষা নিশ্চিত করতে সভায় বেশ কিছু গণপ্রস্তাব তুলে ধরা হয়।
সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীর উপকারভোগী নির্বাচনের ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় সমস্যা হলো নির্ভরযোগ্য তথ্যভান্ডারের অনুপস্থিতি। তাই স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানগুলিকে কাজে লাগিয়ে এ ধরণের একটি কেন্দ্রীয় তথ্যভান্ডার গড়ে তুলতে হবে। এছাড়া জাতীয় বাজেটের অর্থব্যয়ের কার্যকারিতা ও স্বচ্ছতা বৃদ্ধিতে আর্থিক প্রক্রিয়ার বিকেন্দ্রিকরণ এবং জেলা বাজেট পুনঃপ্রচলন করার দাবিও জানানো হয়।
সভায় স্বাস্থ্য খাতের দুর্নীতি ও অব্যবস্থাপনা রোধে একটি উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন স্বাধীন কমিশন গঠন করার দাবি জানান বক্তারা।
তারা বলেন, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মানদ- অনুযায়ী প্রতি ১০ হাজার মানুষের জন্য ২৩ জন স্বাস্থ্য কর্মী থাকার কথা, অথচ বাংলাদেশে মাত্র ৭ দশমিক ৭ জন বিদ্যমান। এছাড়া, চট্টগ্রাম জেলার সড়ক দূর্ঘটনা ও বিভিন্ন দুর্যোগে আক্রান্ত মানুষদের দ্রুত চিকিৎসা ও সুরক্ষার জন্য নগরীতে একটি ট্রমা সেন্টার চালু করার দাবি জানানো হয়।
বাংলাধারা/এফএস/এএ













