ওরে বাপরে বাপ্ !
বাবা’র কথা বলতে মানা
বাবা’র গান গাইতে মানা–,
এসব খরচ করতে মানা,
আসল যোগান ক্যেমনে চলে (?)
সেসব খবর কেউ রাখে না ।
হটকারী আর কতো’যে সই–
৭১’র শত্রু কী তো থাকবে অবিনাশ’ই !!
নিজকে নিজে দম্ভ হাঁকায়
ছোট লোকের জাত—!
ক’দিন হলো (!) ক্ষরস্রোতায়-
চর পড়াতে জুটছে ক’টা ভাত।
তখন আমি দিব্যি হাঁকাই শ্যাম্
মল-মূত্রে পড়ছে ঝরে সোনা–!
নন্দ-দুলাল উপাধিতে কি’যে আটখানা !
তোলায় তোলায় দাম,
এ্যঁ, নাম শুনেই তো সীতা ছেড়ে–
রাবন রক্ষে পালিয়ে আপন প্রাণ–!!
যখন আমি বর্ণচোরার ফাঁদে,
ভাবটা যেনো ৭৫’র ডুগডুগী’রা-
রং ঢং এ, আর উল্লাসে সুর বাঁধে !!
সাধ্য মাঝে যা-ই সংকূলাণ
আত্মমাঝে নেই ব্যবধান,
পক্ষদ্বয়ে’র ভরপুরএ বাম্পার !
মীর-ঘষেটি’র পূর্ণ ষোলকলা
তীরন্দাজে মোরে করছে ফলাফলা (!)
নাট্য তখন যাত্রাপালায় পাল্টে সুরকার,
তামাম বিশ্ব দুধে ধোয়া, আমি’ই কূলাঙ্গার !!
মূর্খ যতো বিশ্বজোড়া—
তিলকে ভাবে তাল–!
কামলা হবার যোগ্যতা নাই,
অকর্মন্য ষাঁড়, লোভ-লালসায়-
নিজেই একটা ব্যেতাল !!
প্রাপ্তি একটু হলেই বেশি —
অহংবোধে স্বয়ংসদা হায় (!)
“মুই কী হনু” অথর্ব তাই–
আপনাতে আমলা ভাব জাগাই–!!
আপন ঘরেই নির্বাক নপুংশক যে প্রাণী
ত্রাহি ত্রাহি পাড় করি ভাই,
আপন ঘরে থমকে ধ্বমনি–!
ঘরে থাকা লক্ষ্মী তো নয়, আস্তো ডায়ণী !!
বাহির পানে বড়-মেজো’র-
ভ্যেলকি মোরে কাঁপায় থরথর,
জননী’র ঐ পুঁচকী দু’টোর মরণ কামড়–
আজও ব্যথা, কমছে না শির্ শির্–!!
কিন্তু বাঁপু, যে আজীবন
আত্মবিলীণ, নির্মোহিত ঐ নতশির্–,
বৃন্দাবনে লাগিয়ে শিখা, দাঁড়িয়ে
হাতে খড়্গ, ধেনুক-তীর—!!
সর্বজনে গর্জে বলে ওকিছু না (!),
বোঝে সবে মৌচাকে নাই ভীঁর–
তাই তোমরা সবে বণে গেলে বীর (?)
নাকি পলাশীর ঐ স্বয়ংক্রিয় মীর–!!
ওরে বাপরে বাপ্, এ কোন অভিশাপ !
দ্বি-পদী সব প্রাণী দেখি, মানুষের অভাব!!
বাংলাধারা/এফএস/টিএম













