২৯ অক্টোবর ২০২৫

সার্জেন্ট নাজিমের একটি কবিতা

ধন্য মাতা শহীদ জননী
ধন্য বেগম রোকেয়া—-!!


ধন্য মোদের করতে চেয়েছো ….
জননী হয়তো স্বার্থক জন্ম দিয়েছিলে,
তব কিছুইতো করার অবশিষ্ট রাখো নি !!

হ্যাঁ, সত্যি মা’গো ধন্যি —
তোমার কোলে জন্ম নিয়ে —!
তুমি স্বার্থক গর্বিত শহীদ জননী –!!

বেগম রোকেয়া সেদিন স্বপ্নে
এসে দিয়েছিলেন দেখা আর —!
বিষ্মিত বদনে ঊষ্মা প্রকাশিত সনে,
অশ্রুসিক্ত মাতা দিচ্ছিলেন ধিক্কার !!

উর্ধ্ব গগনে তাকিয়ে মাতা যেনো —
বিরবির কন্ঠে মম স্রষ্ঠা সনে তাবৎ
মর্মষ্পর্শী সাথে গগনবিদারী চিৎকার,
পরম দয়ালু আল্লাহ্ মাবুদ বলো,
এই কি শিক্ষা ছিলো আমার (?)

জাগতিক যতো বিলায়ে কামনা,
তাগুত সমুহ বিত্ত সনে ষষ্ঠাদশী
লালায়িত আত্ম-পীড়িত সৌম্য বাসনা !

দীর্ঘতম জিঘাংসিত বিধ্বস্ত ঐ —
ধ্রুবতারার আদলে বিদীর্ণ বক্ষেও
যিনি সহস্র বিঘ্নতা’রে তুচ্ছ করি,

আগলে রাখিয়া আত্ম-বিস্মৃত
রহিয়াছে যার গালভরা কৃত্রিম হাসি !
এ কোন্ জন্ম ছবক আত্ম বিণাসী (?)
তব তাহারই গলে ঝুলাবে রশি..!!

হে খোদা বিনম্র সনে মাগিতেছি পানা
স্ব-হাস্যে ঐ দিব্য স্বামীর ছেঁড়া আজো জামা,
লজ্জিত, ক্রন্দিত আমি ইত্তযতো বিভৎসমনা
কথনে পঠণে অলক্ষ্যুণে রাক্ষুসী যতো হায়েণা !

ঘৃণ্য তাবৎ সংকূলে, তুমি করোনা
দোজখ মুক্ত, এই হাওয়ায় ভেসে
উড়ন্ত সম কী দুরন্তপণা — !

পূর্ণ নিবেদিত হায়, প্রাণের
পতিকেও রাখে অভূক্ত, রক্ত পিপাশীণী
ব্যস্ত অতি পতি খেকো গদ্য রচনায়!

হে খোদা এই কী না ছিলো মোর আল্পনা,
যুগপৎ যতো আলোর ফেরি করি মুক্ত করিতে
শৃঙ্খল, নারীময় সুশোভিত বাগিচা’র কল্পণা,

নারী মুক্তি’র লালিত স্বপ্ন যতো চূর্ণ-বিচূর্ণ
করি, বেলেল্লাপনায় ঝাঁপিয়ে হাঁকায় সম্পূর্ণা ।
আলোকিত নারী মুক্তি’র শপথবাক্যে কিংবা
মননে সৃজনে ইহাতো কামনা ছিলো না…!!

তবে কী নারী পুনঃ: পুনঃ: ঠেকেছে অধূনা —
জাহেলী সম্মোহণী ভোগীণী কামিণী ললণায় (!)

জাহেলী-কূহেলী উচ্ছিষ্ট জ্বালিয়ে
আজ বিশ্বের বুকে আমরা গর্বিত বাঙ্গালী !

শংকায় কেনো মা, জাগ্রত তোমার
দামাল ছেলেরা, সেই থেকে এই —-!
শত্রু দল থাকে সন্ত্রস্ত, জানে বিশ্ব তামাম
রোকেয়া মোদের আলোর দিশারী,
জননী মোদের “শহীদ জাহানারা ইমাম” !!

বাংলাধারা/এফএস/টিএম

আরও পড়ুন