দু:সাহস ??
আমি কে (?) আমি—
মরু সাহারায় উচ্ছিষ্ঠে’র-
অবশিষ্ট এই আমি চলছি
বেবাক্ অন্ত:হীন পথ মাড়িয়ে।
শূন্য পৃথীবির আজব সব ই,
চন্দ্র তারা নক্ষত্র রবি–
তাবৎ জগৎ হালখাতা সব-ই,
বৈমাত্রেঅ হলেও
তবুও কেনো জড়ায়ে মোরে শনি !
সকল-ই ত্বড়ায়ে —
নির্বাক নিথর আমি,
রয়েছি ঠাঁই দাঁড়িয়ে,
এপাশ-ওপাশ নিজেকে
হেলায়ে আসিনি তো
কারো বা গতিপথ মাড়িয়ে—(!)
তবুও বা কেনো– (?)
কোন সাহসে যেনো–
রক্তচক্ষু কি শাঁসানো’র তরে,
লক্ষ্য করি মোরে দু:সাহসীক তর্জনী
উঁচিয়ে ধরে—(!!)
অস্থিত্ব !
নিজের অস্তিত্ব নিজেই
পাইনা তো কোথাও খুঁজে,
তাইতো সবখানে তল্লাশিয়া যাই,
কোথাও কেউ নাই–
নি:শ্বব্দ নিরব প্রকৃতির মাঝে,
নিজের অস্তিত্ব মজ্জাগত
সুগন্ধি আহরনে হাওয়ায় বেড়াই।
আমি বস্তির ঐ —
কোঠরীতে নিজেকে লুকাই,
দু:খিনী মায়ের একপলক
হাসিতে নিজেকে হারাই–!
এ জগতে হায়–
কে আপন কে বা পর,
কেবা রাখে কাহার খবর ?
তাইতো চিমটি সম ঐ–
হাসির ঝিলিক সুখে–
মোরে সদাসয় আড়ালে কাঁদায়,
তবুও আমি শান্তি নীড় সম ঐ
তাহাতেই প্রাণ জুড়াই।।
বাংলাধারা/এফএস/টিএম













