২৬ অক্টোবর ২০২৫

‘সার্ভিস জেটি’ দেবে জাহাজের সুরক্ষা

শাহ আব্দুল্লাহ আল রাহাত »

চট্টগ্রাম বন্দরে মালিকানাধীন বিভিন্ন জাহাজের সুরক্ষা ও বন্দরের অপারেশনাল কার্যক্রমে গতি আনতে চলতি মাসেই উদ্বোধন হতে পারে নতুন সার্ভিস জেটি। এতে জাহাজের সুরক্ষায় বন্দরের কার্যক্রমে রাখবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা এবং দূর হবে বন্দরের নানা সংকট।

বন্দর নগরীর বারিক বিল্ডিং এলাকায় কর্ণফুলীর নদীর পাড়ে ১ নম্বর জেটি এলাকায় নির্মিত হয় এই সার্ভিস জেটি। যেখানে মালিকাধীন বিভিন্ন ধরনের প্রায় ৩৫টি ভেসেল পরিচালনা করা হবে। এই জেটি নির্মাণ করেছে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান প্রতুন ওহাব এ বারিক (জেভি)। ৮৩ কোটি টাকা ব্যয় হয়েছে ৭২২ ফুট লম্বা সাইজের এই সার্ভিস জেটি নির্মাণে।

নতুন এই সার্ভিস জেটি নির্মাণের দূর হবে অনেক সংকট। কমে আসবে অপরিকল্পিতভাবে বিভিন্ন স্থানে জাহাজের নোঙর ফেলা। জরুরি প্রয়োজনে ভেসেলগুলো নির্দিষ্ট গন্তব্যে পৌঁছাতে সময়ক্ষেপণও কমে আসবে। চট্টগ্রাম বন্দরের মালিকানাধীন বিভিন্ন ধরনের প্রায় ৩৫টি ভেসেল পরিচালনা করা যাবে এখানে।

এছাড়া বন্দরের অপারশেনাল কাজে ব্যবহার হয় উদ্ধারকারী জাহাজ, টাগবোট, জরিপ জাহাজ, আউটার থেকে বন্দরের বার্থিং এ বিদেশি জাহাজগুলোকে আনার দায়িত্বে থাকা পাইলটদের বোট, ফায়ার ফাইটিং বোট, পানিবাহী ভ্যাসেলসহ প্রয়োজনীয় জাহাজগুলো এই ধরনের জেটি ব্যবহার করে।

চট্টগ্রাম বন্দরে সার্ভিস জেটি থাকলেও ২০০৮ সালে বন্দরে সেটি বন্ধ হয়ে যাওয়ার পর ২০১৮ নতুন এই জেটি নির্মাণের জন্য ৮৩ কোটি টাকা ব্যয়ে দেশিয় প্রতিষ্ঠান প্রতুন ওহাব এ বারিককে (জেভি) কার্যদেশ দেয় বন্দর। গত ১৩ বছরে দেশের আমদানি রপ্তানির প্রধান এই বন্দরে ছিলো না কোনো সার্ভিস জেটি। নতুন এই জেটি নির্মাণে ১৩ বছরের নানা সীমাবদ্ধতা থেকে মুক্তি মিলবে অতি সহজেই। যেখানে সাড়ে ৫ মিটার ড্রাফটের ১০০ মিটার লম্বা আকারের দুটি জাহাজ একসাথে বার্থিং করতে পারবে।

এই নতুন সার্ভিস জেটিকে ঘিরে নির্মাণ করা হয়েছে দুই হাজার ৬৫০ বর্গফুটের তিনতলা একটি অফিস ভবন, ৩ হাজার বর্গফুটের স্টিল কাঠামোর একটি ওয়্যার হাউস, ২ হাজার ১০০ কিউবিক মিটারের একটি আন্ডারগ্রাউন্ড পানির রিজার্ভার, ২২২ মিটার লম্বা ৮ ফুট উঁচু রিটেইনিং ওয়াল, রিভার ব্যাংক ও শোর প্রোটেকশন, ড্রেনেজ সিস্টেম, ৫০০ কেভির বৈদ্যুতিক সাব স্টেশন, ১০০ ফুট উঁচু সিগন্যাল টাওয়ার।

সার্ভিস জেটি উদ্বোধন বিষয়ে চট্টগ্রাম বন্দরের সদস্য সচিব বাংলাধারাকে বলেন, ‘নতুন সার্ভিস জেটির নিমার্ণ কাজ শেষ। নৌ পরিবহন মন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী যখন চট্টগ্রাম আসবেন তখন জেটি উদ্বোধন করা হবে। এসময় চলতি মাসে উদ্বোধনের সম্ভবনারও কথা জানান তিনি।

তিনি আরও বলেন, মালিকানাধীন বিভিন্ন জাহাজের সুরক্ষা ও বন্দরের অপারেশনাল কার্যক্রমে গতি আনবে এই জেটি।

আরও পড়ুন