৩১ অক্টোবর ২০২৫

সাহসী পদক্ষেপে চট্টগ্রাম বন্দর মুহূর্তের জন্যও বন্ধ হয়নি : নৌ প্রতিমন্ত্রী

বাংলাধারা প্রতিবেদন »

চট্টগ্রাম বন্দর সংশ্লিষ্টদের সাহসী পদক্ষেপের কারণে করোনাকালে বন্দরের অপারেশন (কর্মকাণ্ড) এক মুহূর্তের জন্যও বন্ধ হয়নি। ১০ বছরে চট্টগ্রাম বন্দর বিশ্বের সেরা ১০০ কন্টেইনার হ্যান্ডলিংকারী বন্দরের তালিকায় ৬৪ তম অবস্থানে এসেছে। আমরা চাই ৩০-৫০ তম অবস্থানের মধ্যে চলে আসতে।

বুধবার (১ জুলাই) দেশের প্রধান সমুদ্রবন্দর- চট্টগ্রাম বন্দরের কর্মকর্তা কর্মচারীদের করোনা চিকিৎসার জন্য ৬০ শয্যার বিশেষায়িত ইউনিট ও নতুন হাসপাতাল ভবনের উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে নৌ পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী এসব কথা বলেন।

করোনা পরিস্থিতিতে সরকারের সাহসী পদক্ষেপ প্রসঙ্গে খালিদ মাহমুদ বলেন, পৃথিবীর কোনো দেশ প্রস্তুত ছিলো না কোভিড-১৯ এর জন্য। উন্নত দেশেও স্বাস্থ্যসেবা থমকে গেছে। বাংলাদেশের মানুষের সাহসিকতা ও সরকারের সাহসী ব্যবস্থাপনা ছিলো। আমরা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এগিয়ে গেছি। এ বিস্ময়কর নেতৃত্বে এ সংকট মোকাবিলা করছেন দেশের মানুষ। করোনা আমাদের অর্থনীতিতে যে ধাক্কা দিয়েছে তা কাটিয়ে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা চলছে। চট্টগ্রাম বন্দরের আওতায় মাতারবাড়ী গভীর সমুদ্রবন্দর, বে টার্মিনাল, পিসিটিসহ অনেক প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। তাই বন্দরের জন্য শুধু উদ্ধারকারী জাহাজ নয়, হেলিকপ্টার কেনারও পরিকল্পনা রয়েছে।

খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, চট্টগ্রাম বন্দর বাংলাদেশের লাইফ লাইন। চট্টগ্রামের মানুষের প্রতি আমাদের দায়বদ্ধতা আছে। কোভিড-১৯ চিকিৎসায়ও সামাজিক দায়বদ্ধতা থেকে চট্টগ্রামবাসীর পাশে থাকবে।

বুড়িগঙ্গায় লঞ্চডুবির ঘটনায় তদন্ত কমিটি নির্দিষ্ট সময়ে প্রতিবেদন জমা দেবে উল্লেখ করে নৌ পরিবহন প্রতিমন্ত্রী বলেছেন, দোষীদের আইনের আওতায় এনে শাস্তি নিশ্চিত করা হবে।

সেখানে নৌ প্রতিমন্ত্রী হাসপাতাল ভবনের ফলক উন্মোচন করেন। হাসপাতালের করোনা ইউনিট ঘুরে দেখেন এবং একটি গাছের চারা রোপণ করেন।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম বন্দর চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল এসএম আবুল কালাম আজাদ, বন্দরের সদস্য (প্রশাসন ও পরিকল্পনা) মো. জাফর আলম, পরিচালক (পরিবহন) এনামুল করিম, বন্দর সচিব মো. ওমর ফারুক, প্রধান চিকিৎসা কর্মকর্তাসহ বন্দরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা প্রমুখ।

বাংলাধারা/এফএস/টিএম

আরও পড়ুন