বাংলাধারা ডেস্ক »
লাইসেন্স বিধিমালা এবং এইচএস কোড ও সিপিসি সংক্রান্ত বিদ্যমান আইন সংশোধনসহ দশ দফা দাবিতে চট্টগ্রামসহ সারাদেশে দুই দিনের ধর্মঘট শুরু করেছে সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টরা। ক্লিয়ারিং অ্যান্ড ফরোয়ার্ডিং (সিঅ্যান্ডএফ) এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের মালিক-কর্মকর্তা-কর্মচারীরা সোমবার সকাল থেকে তাদের কার্যক্রম বন্ধ রাখায় চট্টগ্রাম কাস্টমসহ দেশের প্রতিটি শুল্ক স্টেশনে শুল্কায়ন প্রক্রিয়া বন্ধ রয়েছে।
পণ্য ছাড়ের জন্য কোনো প্রকার বিল অব এন্ট্রি দাখিল করছেন না সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টরা। তবে চট্টগ্রাম বন্দরের ভেতরে পণ্য খালাস ও কন্টেইনার ওঠা-নামার কাজ স্বাভাবিক রয়েছে।
চট্টগ্রাম সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক কাজী মাহমুদ ইমাম বিলু বলেন, ‘লাইসেন্সিং রুলের বিধিনিষেধের কারণে আমরা সংকটে আছি। এইচএস কোড ও সিপিসি সংক্রান্ত বিদ্যমান আইনের সংশোধনের জন্য আমরা বারবার বলে আসছি। এছাড়া আমদানিকারকের বকেয়া পাওনার দায়ভার আমাদের ওপর চাপানো হচ্ছে। আমরা দায়িত্বশীলতার সাথে সম্মানের সাথে ব্যবসা করতে চাই। এসব বিষয়ে বারবার দাবি তোলার পরও সুরাহা না হওয়ায় আমরা ধর্মঘটে এসেছি।’
ইতোমধ্যে এনবিআর এর পক্ষ থেকে সমিতির সাথে যোগাযোগ করা হয়েছে জানিয়ে বিলু বলেন, ‘আগামী ৭ ফেব্রুয়ারি বৈঠক করার জন্য আমাদের বলা হয়েছে।’
সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টরা সকাল থেকে চট্টগ্রাম কাস্টম হাউজের সামনে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ সমাবেশ করছেন। এনবিআরের আলোচনার প্রস্তাবে ধর্মঘট প্রথ্যাহার হবে কি না জানতে চাইলে মাহমুদ ইমাম বিলু বলেন, ‘বিকালে আমাদের সভায় এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’ সূত্র : বিডিনিউজ













