২৫ অক্টোবর ২০২৫

সিআরবিতে হাসপাতাল তৈরি না করতে প্রধানমন্ত্রীকে ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রী চিঠি

বাংলাধারা প্রতিবেদন »

‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, আপনি আমার শ্রদ্ধেয় নানুর মতো। আর আমি আপনার নাতনির বয়সী। তাই আশাকরি আপনি আমার আবদার ফেলবেন না। ইতি- আপনার স্নেহধন্য, মিমবর হুরে জান্নাত।’

চট্টগ্রাম নগরীর সিআরবিতে হাসপাতাল নির্মাণ না করতে চট্টগ্রামের সকল শিশুদের পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে চিঠি লিখেছে মিমবর হুরে জান্নাত নামের ষষ্ঠ শ্রেণির এক ছাত্রী। সে নগরের পাঁচলাইশ সুগন্ধা আবাসিক এলাকার বাসিন্দা এবং অংকুর সোসাইটি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী।

সোমবার (৯ আগস্ট) দুপুরে চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক মো. মমিনুর রহমানের হাতে চিঠিটি তুলে দেয় মিমবর।

চিঠিতে ওই ছাত্রী লিখেছে- ‘চট্টগ্রামের সকল শিশুদের পক্ষ থেকে একটি মানবিক আবেদন জানাচ্ছি। চট্টগ্রাম শহরের অধিকাংশ শিশু চার দেয়ালের মাঝে বন্দী জীবন কাটায়। একটু অবসর পেলেই সিআরবিতে গিয়ে স্বস্তির নিশ্বাস নেয়। শুধু শিশুরাই নয় নবীন-প্রবীণ সকল শ্রেণির মানুষ এখানে এসে প্রকৃতিকে উপভোগ করে। শতবর্ষী বৃক্ষের বৈচিত্র্যে ভরা চট্টগ্রামের ফুসফুসটিকে ধ্বংস করে বাংলাদেশ রেলওয়ে সেখানে নাকি একটা বেসরকারি হাসপাতাল বানাতে চায়। হাসপাতাল হোক কিন্তু সেটা ফুসফুসকে ধ্বংস করে নয়। এটাই বীর চট্টলার দাবি। এ দাবির জন্য এত আন্দোলন, এত ক্ষোভ, এত সভা’।

মিমবর হুরে জান্নাত সিআরবিকে নিয়ে তিনটি কবিতা লিখেছেন। সেই কবিতা সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রীকে বলতে গিয়ে সে লিখেছে, ‘আমি ছোট মানুষ, তাও সিআরবিকে আমি অনেক ভালোবাসি। তাই আমি সিআরবি রক্ষার প্রতিবাদ স্বরূপ তিনটি কবিতা লিখেছি। আশাকরি আপনি সেগুলো দেখবেন।’

প্রধানমন্ত্রীকে শিশুপ্রেমি, প্রকৃতিপ্রেমী ও মানবতাবাদী উল্লেখ করে সে লিখেছে, ‘আমরা আপনাকে শিশুপ্রেমি, প্রকৃতিপ্রেমী ও মানবতাবাদী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে জানি। আপনি একজন সত্যবাদী, নিষ্ঠাবান প্রধানমন্ত্রী হিসেবে বিশ্বের ইতিহাসে নাম লিখিয়েছেন। সমাজকে ক্ষত-বিক্ষত করা যেসব লোভী চক্ষুর দৃষ্টি সিআরবিতে পড়েছে, তারা নিশ্চয়ই আপনাকে ভুল বুঝিয়েছে। তাই আমরা এখনো সিআরবি রক্ষার সঠিক সিদ্ধান্ত পাইনি।’

বাংলাধারা/এফএস/এআই

আরও পড়ুন