বাংলাধারা প্রতিবেদন »
চট্টগ্রামে করোনাভাইরাস আক্রান্তের সংখ্যা এখন উর্ধ্বগামী। বাড়ছে মৃত্যুও। উপসর্গ নিয়েও নগরীর বিভিন্ন পোশাক কারখানায় কাজ করছে অনেক শ্রমিক। এসব কারখানায় আক্রান্ত হওয়া শ্রমিকদের মাধ্যমে পুরো নগরীতে করোনা পরিস্থিতি আরও বেসামাল হয়ে পড়তে পারে বলে মনে করছেন অনেকেই।
জানা যায়, চট্টগ্রাম রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চলে (সিইপিজেড) মোট প্রতিষ্ঠান রয়েছে ১৫৭টি। তবে সেখানে সচল রয়েছে ১৪৮টি প্রতিষ্ঠান। সেখানে কাজ করছেন প্রায় ২ লাখ পোশাক শ্রমিক। এছাড়াও কর্ণফুলী ইপিজেডেও রয়েছে প্রায় ৫০টি গার্মেন্টস। সেখানেও কাজ করছেন প্রায় ৮০ হাজার শ্রমিক।
অভিযোগ উঠেছে, প্রাথমিকভাবে আক্রান্ত হওয়া ব্যক্তি ও তার পরিবারের সদস্যকে লকডাউন ও আইসোলেশনের আওতায় আনা হলেও আক্রান্ত ব্যক্তির সংস্পর্শে থাকা কারখানার অন্য শ্রমিকদের আইসোলেশনে রাখবার ‘ধার ধারে না’ এসব প্রতিষ্ঠান। করোনার ঝুঁকিকে এমনই তাচ্ছিল্য দেখাচ্ছে কারখানাগুলো। ‘করোনায় আক্রান্ত হলেও কাজ করতে হবে’— এভাবে ভেবে নিয়েই চরম ঝুঁকিতে কারখানায় যাচ্ছেন চট্টগ্রামের আড়াই লাখ শ্রমিক।
গত কয়েকদিনে করোনা পজিটিভ হিসেবে শনাক্ত হওয়া পোশাক শ্রমিকদের মধ্যে রয়েছেন জীবী বাংলাদেশ লিমিটেডের মোর্শেদ আলম (২৫) ও মঞ্জুর আলম (২৩), এইচ কে ডি ইন্টারন্যাশনালের মো. বেলাল (৩৫), কেনপার্ক বাংলাদেশ অ্যাপারেল প্রাইভেট লিমিটেডের সেলিনা (৩৭) ও দেবদাস (২৬), এনজেড টেক্সটাইল লিমিটেডের মো. রাজু মিয়া (২৩)। এরা সবাই নগরীর ইপিজেড থানা এলাকায় ভাড়া বাসায় থাকেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে রপ্তানি প্রক্রিয়াজাতকরণ অঞ্চল কর্ণফুলী ইপিজেডের জেনারেল ম্যানেজার মসিউদ্দিন বিন-মেজবাহ বলেন, গত ১৩ তারিখে নজরুল ইসলাম ও নার্স আরজিনা আক্তারের করোনা পজিটিভ শনাক্ত হওয়ায় ওই ফ্লোরে বেশ কয়েকজনকে আইসোলেশনে পাঠানো হয়েছে। তবে নতুন করে আরও কয়েকজনের খবর পেয়েছি। সেগুলো খবর নিয়ে তাদেরকেও আইসোলেশনে পাঠানো হবে। এখানকার কোন ফ্যাক্টরি যদি আইসোলেশনে পাঠানোর বিষয়টি না মানে, ওই কারখানার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বাংলাধারা/এফএস/টিএম













