সিডিএ’র নগর পরিকল্পনা বিভাগের সহকারি নগর পরিকল্পনাবিদ কামাল হোসেন অনিয়ম দুর্নীতির সাম্রাজ্য বানিয়েছেন চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের পরিকল্পনা বিভাগকে। এই যেন শস্যের মধ্যে ভূত! চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (সিডিএ) পরিকল্পনা বিভাগে সহকারি নগর পরিকল্পনাবিদ কামাল হোসেনের নেতৃত্বে কতিপয় অসৎ কর্মকর্তার সমন্বয়ে গঠিত একটি সিন্ডিকেট কোটি কোটি টাকা ঘুষ বাণিজ্য চালিয়ে যাচ্ছে। ঘুষ দিলে অসাধ্য সাধন হয় চউকে, প্লান পাস হওয়ার আগে ভবন নির্মাণ শুরু, ৭ ফিট রাস্তা কে ২০ ফিট দেখিয়ে ছাড়পত্র দেওয়া হয় এই সিন্ডিকেটের ঘুষ বাণিজ্যের মাধ্যমে। আর ঘুষ না দিলে সঠিক কাজেও হয়রানির শিকার হন সেবাপ্রার্থীরা।
একটি দুর্নীতিবাজ চক্র দীর্ঘদিন যাবৎ সিডিএ কে নিজের সম্পত্তি মনে করে যথেচ্ছা ব্যবহার করেছেন। সেবাপ্রার্থীদের হয়রানির গ্যাঁড়াকলে ফেলে নিজেরা কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন । এই চক্রের অপকর্মের কারনে সিডিএ সাধারণ জনগনের কাছে ’আপদ’ নাম হয়ে দাড়িয়েছে। সেবার পরিবর্তে এখানে জুটছে হয়রানী আর দুর্ভোগ । এভারগ্রীন হাইটস, আইডিয়াল পার্ক, এলিট পার্ক এবং শত শত প্রকল্পে অনিয়ম দুর্নীতি করছে সিন্ডিকেট। সঠিকভাবে তদন্ত করলে এই অনিয়ম উঠে আসবে।
অনিয়ম দুর্নীতি নিয়ে এটিপি কামাল হোসেনকে ফোন করলে তিনি ফোন ধরেন নি। তাই তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের সচিব রবীন্দ্র চাকমা
বাংলাধারাকে বলেন, প্ল্যানিং অনুমোদনে চেয়ারম্যান ও সচিবের সম্পৃক্ততা নেই, পরিকল্পনা বিভাগ ও অথরাইজ বিভাগ দেখাশোনা করেন। চেয়ারম্যান মহোদয়ের সাথে আলোচনা করতে পারেন।
অনিয়ম দুর্নীতি নিয়ে জানতে চাইলে ইমারত নির্মাণ কমিটির চেয়ারম্যান এজিএম সেলিম বাংলাধারাকে বলেন বলেন, আমি দায়িত্বে নেওয়ার আগে এইসব হয়েছে। খতিয়ে দেখব, অনিয়ম হলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ইতোমধ্যে এ নিয়ে কার্যক্রম শুরু হয়েছে।
এডভোকেট জাহাঙ্গীর আলম বলেন, সিডিএর অন্যতম দায়িত্ব ইমারত নির্মাণ বিধিমালা অনুযায়ী ইমারতের (ভবন বা স্থাপনা) নকশা অনুমোদন করা। অবৈধ নির্মাণ রোধ করা। সংস্থাটির অন্যতম মিশন বা অভিলক্ষ্য হচ্ছে পরিকল্পিত নির্মাণ অনুমোদন ও নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে নগরবাসীর জন্য একটি টেকসই বিকশিত ও বাসযোগ্য চট্টগ্রাম নগর গঠন।
এভারগ্রীন হাইটস….
বাকলিয়ার সৈয়দ শাহ সড়কে এভারগ্রীন হাইটস নামক বহুতল ভবনের কাজ চলছে। সিডিএ এর অনুমোদনবিহীন( প্ল্যান পাশ না করিয়ে) কাজ চালাচ্ছে ভবন মালিকরা। সহকারী নগর পরিকল্পনাবিদ কামাল হোসেন সরেজমিনে তদন্ত করে ছাড়পত্র দেন। ১০০ জন শেয়ার হোল্ডার এই ভবন নির্মাণ করছেন। অনুমোদন না নিয়ে কেন ভবন নির্মাণ করছেন এই বিষয়ে জানতে চাইলে, নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক শেয়ারহোল্ডার জানান. এটিপি কামাল হোসেনের সাথে মৌখিক চুক্তির কারণে আমরা ভবন নির্মাণ করছি। শোনা যায় ভবন মালিকদের সাথে বড় ধরনের অর্থনৈতিক লেনদেন হয়।
আইডিয়াল পার্ক…..
বাকলিয়া এক্সেস রোড়ে আইডিয়াল পার্ক নামক ১৩ তলা ভবনটি হয়েছে। বহুতলা ভবন নির্মাণের কোন নিয়ম নীতি মানা হয়নি। প্রবেশের রাস্তা হল ৭ ফিট। মূল সড়ক থেকে দেড়শ ফিট ভিতরে গিয়ে এই ভবন। নগর পরিকল্পনা বিভাগ
অনিয়মকে যে নিয়ম বানান এটাই তার প্রমান। ৭ ফিট রাস্তার পাশে একতলা বাড়ির মালিক জানান, আমার বাড়িকে রাস্তা দেখিয়ে আমার স্বাক্ষর নকল করে রাস্তা দেখান। তিনি জানান, একজন সহকারী নগর পরিকল্পনা বিদের পক্ষের সম্ভব নয় এই কাজ করা। ওনার সাথে বড় বড় কর্মকর্তারা জড়িত। আইডিয়াল পার্ক এর ছাড়পত্র দেওয়ার আগে সারেজমিনে তদন্ত করেন এটিপি কামাল হোসেন।
এলিট পার্ক….
বাকলিয়া এক্সেস রোড়ে এলিট পার্ক নামক ১৩ তলা ভবনটি হয়েছে।বহুতলা ভবন নির্মাণের কোন নিয়ম নীতি মানা হয়নি এলিট পার্ক ভবন নির্মাণে। প্রবেশের রাস্তা হল ৮ ফিট। মূলম সড়ক থেকে অনেক ভিতরে গিয়ে এই ভবন। নগর পরিকল্পনা বিভাগে সিন্ডিকেট ছাড়া কোন ছাড়পত্র দেওয়া হয় না, এটাই তার প্রমান। ছাড়পত্র দেওয়ার আগে সারেজমিনে তদন্ত করেন এটিপি কামাল হোসেন।













