২৮ অক্টোবর ২০২৫

সিভাসু ও বিসিএসাআইআর’র গবেষণা; চট্টগ্রামে ৯৩ শতাংশ রোগীেরই দেহে ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট

বাংলাধারা প্রতিবেদন »

চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি ও এনিম্যাল সাইন্সেস বিশ্ববিদ্যালয় (সিভাসু) ও বাংলাদেশ বিজ্ঞান ও শিল্প গবেষণা পরিষদের (বিসিএসাআইআর) ৯ জন গবেষকের গবেষণায় উঠে এসেছে এক নতুন তথ্য। জানা যায়, চট্টগ্রামে ৯৩ শতাংশ করোনা রোগীেরই দেহে ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট পাওয়া গেছে।

গত এক মাসে চট্টগ্রামের ৩০ জন কোভিড পজিটিভ রোগীর ওপর গবেষণা চালিয়ে এমন তথ্য জানিয়েছেন চট্টগ্রামের দুই প্রতিষ্ঠানের ও ৯ গবেষক।

‘কোভিড-১৯ আক্রান্ত রোগীদের স্বাস্থ্যঝুঁকি মূল্যায়ন’ শীর্ষক গবেষণায় ১ থেকে ১৯ জুলাইয়ের মধ্যে চট্টগ্রামে করোনায় সংক্রমিত ৩০ ব্যক্তির নমুনা সংগ্রহ করা হয়। ৩০টি নমুনার মধ্যে ২৮টিতেই ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের উপস্থিতি পাওয়া গেছে। অর্থাৎ, ৯৩.৩৩ শতাংশ ক্ষেত্রে চট্টগ্রাম অঞ্চলের সংক্রমণ এখন ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট দ্বারা হচ্ছে। বাকি দুইটি নমুনার মধ্যে একটিতে আলফা ভ্যারিয়েন্ট (ইউকে ভ্যারিয়েন্ট) এবং অপরটিতে লিনিয়েজ-এ ভ্যারিয়েন্ট। উপজেলা পর্যায়ে সবচেয়ে বেশি রোগী পাওয়া যায় হাটহজারীতে।

আরও জানা যায়, এর আগে চট্টগ্রাম অঞ্চলে আলফা বা ইউরো ভ্যারিয়েন্ট ও বিটা বা সাউথ আফ্রিকান ভ্যারিয়েন্টের উপস্থিতি থাকলে এবার তা ৯৩ ভাগই ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট।

সিভাসু উপাচার্য প্রফেসর ড. গৌতম বুদ্ধ দাশের সার্বিক নিদের্শনায় এবং পােস্ট্রি রিসার্চ ও ট্রেনিং সেন্টার (পিআরটিসি), সিভাসুর আর্থিক সহায়তায় সিভাসুর একদল গবেষক গবেষণা কার্যক্রম পরিচালনা করছেন। গবেষকদলে আছেন প্রফেসর ড. পরিতােষ কুমার বিশ্বাস, প্রফেসর ড. শারমিন চৌধুরী, ডা. ইফতেখার আহমেদ রানা, ডা. ত্রিদীপ দাশ, ডা. প্রনেশ দত্ত, ডা. মাে. সিরাজুল ইসলাম, ডা. তানভীর আহমদ নিজামী। কোভিড-১৯ আক্রান্ত রােগীদের স্বাস্থ্যঝুঁকি মূল্যায়ণ বিষয়ে একটি গবেষণা কার্যক্রম পরিচালনা করছেন তারা।

এই গবেষণা কার্যক্রমের একটি অংশ হিসেবে গত ১ জুলাই থেকে ১৯ জুলাইয়ের মধ্যে সংগৃহীত ৩০টি নমুনা থেকে করােনাভাইরাসের পূর্ণাঙ্গ জিনােম সিকোয়েন্স বা জীবন রহস্য উন্মােচন করার জন্য ঢাকায় বাংলাদেশ বিজ্ঞান ও শিল্প গবেষণা পরিষদে (বিসিএসআইআর) প্রেরণ করা হয়। বিসিএসআইআর বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মাে. সেলিম খান ও ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মাে. মােরশেদ হাসান সরকার এ গবেষণায় অংশগ্রহণ করেন।

বাংলাধারা/এফএস/এআই

আরও পড়ুন