২৪ অক্টোবর ২০২৫

সীতাকুণ্ডে জেলে হত্যা: নিহতের পরিবারকে সহায়তা দিচ্ছে জামায়াত

চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে উপকূলীয় সাগরে বালু উত্তোলনে বাধা দেওয়ায় রাম জলদাস (৩২) নামের এক জেলেকে বাল্কহেডে তুলে মারধরের পর সাগরের পানিতে ভাসিয়ে দেয় বালু উত্তোলনকারীরা। সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) বিকেল ৩টার সময় সীতাকুণ্ড উপজেলার বাড়বকুণ্ড ইউনিয়নের মাহামুদাবাদ নামক সাগর উপকূলীয় এলাকায় এ ঘটনা ঘটেছিল।

এ ঘটনার ৪ দিন পর শুক্রবার (২১ ফেব্রুয়ারি) সকাল ০৯টার সময় ওই জেলের মরদেহ গুলিয়াখালী সৈকতে ভেসে উঠলে নৌ-পুলিশ উদ্ধার করে। একই ঘটনায় তার সহোদর ভাই গৌর জলদাস লিটনকে অপহরন করে নিয়ে যায় নোয়াখালী হাতিয়া। পরে সেখানকার নৌ-পুলিশের সহায়তায় লিটনকে উদ্ধার করে এবং বাল্কহেডে থাকা অপহরণে জড়িত ৬ জনকে আটক করা হয়।

এদিকে বুধবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১১ টায় সেই নিহত রাম জলদাসের বাড়িতে যান সীতাকুণ্ড উপজেলা জামায়াতের নেতৃবৃন্দ। উপজেলা জামায়াতে ইসলামীর প্রচার বিভাগের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে সাংবাদিকদের এ বিষয়টি জানান।

চট্টগ্রাম উত্তর জেলা জামায়াতের সাংগঠনিক সম্পাদক ও চট্টগ্রাম-৪ সীতাকুণ্ড আসনের জামায়াতের মনোনীত সংসদ পদপ্রার্থী আনোয়ার সিদ্দিক চৌধুরীর নেতৃত্বে জামায়াতে একটি দল ওই জেলে পরিবারের সাথে সৌজন্য সাক্ষাত করেন।

এতে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, সীতাকুণ্ড উপজেলা জামায়াতের আমির মাওলানা মিজানুর রহমান, সেক্রেটারি ও সাবেক কমিশনার মুহাম্মদ তাহের, সহকারী সেক্রেটারি ও সাবেক ছাত্র নেতা মুঃ কুতুব উদ্দীন শিবলী, বাড়বকুণ্ড ইউনিয়ন জামায়াতের আমির মাওলানা জয়নাল আবেদীনসহ স্থানী জামায়াতের নেতৃবৃন্দ।

নেতৃবৃন্দ বলেন, বালু উত্তোলনকে কেন্দ্র করে সন্ত্রাসীরা রামদাশকে হত্যা করে সাগরে পেলে দেয়,অবিলম্বে দোষী সন্ত্রাসীদের আইনের আওতায় এনে শাস্তি দিতে হবে।

এসময় জামায়াত নেতৃবৃন্দ বলেন, নিহত রাম জলদাসের ৬ মাসের অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী কনিকা দাসের চিকিৎসা ও সেই সাথে তার কন্যা সন্তানের পড়াশোনার খরচের দায়িত্ব নেন জামায়াত নেতৃবৃন্দ। পাশাপাশি নির্মমভাবে হত্যাকাণ্ডের স্বীকার রাম জলদাসের এই নির্মম হত্যাকাণ্ডের বিচারের দাবিতে আইনি সহযোগীতা প্রদানের ব্যাপারে আশ্বাস দেন। ভবিষ্যতে সকল ধর্মের ভেদাভেদ ভুলে একে অন্যের পাশে দাড়িয়ে কাজ করার আহ্বান জানান।

আরও পড়ুন