আগুনে পোড়া এত রোগী আগে দেখেনি চমেক
লাইভে গিয়ে হারিয়ে গেলো যুবক
জিয়াউল হক ইমন»
এইতো এক সপ্তাহ আগে কন্যা সন্তানের বাবা হন ফায়ার সার্ভিসের কর্মী মো. মনিরুজ্জামান (৩২)। বাড়িতে ফোন করে বলেছিলেন, ‘ছুটি নিয়ে শিগগিরই আমার সন্তানকে দেখতে আসবো। এসেই তার নাম রাখবো।’ ছুটি পেয়েছেন ঠিকই, কিন্তু সেই ছুটিতে একমাত্র সন্তানতে দেখতে যেতে পারলেন না মনিরুজ্জামান। সীতাকুন্ডের বিএম কন্টেইনার ডিপোর অগ্নিদূর্ঘটনায় পাড়ি জমালেন অনন্তের পথে।
এমনই নানান ট্র্যাজেডিতে চট্টগ্রাম পার করছে স্মরণকালের সবচেয়ে বড় সংকটময় মুহুর্ত।
যেমন লাইভে গিয়ে হারিয়ে গেলেন অলিউর রহমান (২২)। দুর্ঘটনাস্থলে লাইভে ছিলেন এই যুবক। হঠাৎ বিস্ফোরণে কিছুক্ষণ পর লাইভ বন্ধ হয়ে যায়। মোবাইল স্ক্রিনের সামনে থাকা ভিউয়াররা বুঝে যান কি ঘটেছে। অবশেষে তারও লাশ পাওয়া গেলো মর্গে।

নগরীর চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, পার্কভিউ হাসপাতালসহ বেসরকারী হাসপাতাল গুলোর বারান্দায় হাটলে এরকম অনেক গুলো ট্র্যাজিক ঘটনা শুনবেন। যা আপনাকে করবে বিমর্ষ ,করবে বিমূঢ়।
তবে এই বিমর্ষতা ভেঙ্গে বিস্ময়ের সৃষ্টি হয় যখন রাত থেকে দেখি এই নগরের নাগরিকগণ তাদের শহরের এই ভয়াবহ দূর্ঘটনা মোকাবিলায় রাত থেকে শ্রম, রক্ত, মেডিসিন ও খাদ্য সহ তৎপর দেখি। “নেগেটিভ রক্ত লাগলে বলেন” প্লেকার্ড নিয়ে মেডিকেলের রাস্তায় রাত থেকে অনেকেই দাঁড়িয়ে ছিলো। রাজনৈতিক কর্মী, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সহ অনেক সংগঠন কাজ করেছে স্বেচ্ছাসেবী হিসাবে।

চট্টগ্রামের মেডিকেল কলেজের এক ডাক্তার জানিয়েছেন, এত আগুনে পোড়া রোগীর চিকিৎসা এর আগে চট্টগ্রামে হয়নি। এমন ঘটনা আমাদের জন্য একদম নতুন অভিজ্ঞতা। ডাক্তার নার্স সহ সবাই এই সংকট উত্তরণের জন্য চেষ্টা চালাচ্ছে।
উল্লেখ্য, শনিবার (৫ জুন) রাত ১১ টায় সীতাকুন্ডের বিএম কন্টেইনার ডিপোতে অগ্নিকান্ড ঘটে। যার থেকে ঘটে তীব্র বিস্ফোরণ। এই ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৪৯ জন নিহত , আহত চার শতাধিক।













