বাংলাধারা প্রতিবেদন »
সুদানের দারফুর এলফেশারসু পারক্যাম্পে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে কর্মরত বাংলাদেশ ফর্মড পুলিশ ইউনিটের ক্যাম্পের নামকরণ করা হয়েছে “বঙ্গবন্ধু ক্যাম্প”।
আজ শনিবার (৭ ডিসেম্বর) বঙ্গবন্ধু ক্যাম্পের উদ্বোধন করেন জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনের পুলিশ কমিশনার ড. সুলতান তিমুরী।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন পাকিস্তান ফর্মড পুলিশ ইউনিটের কমান্ডার আব্দুর রাজ্জাকসহ অন্যান্য উধ্বর্তন কর্মকর্তারা।
বঙ্গবন্ধু ক্যাম্পের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে পুলিশ কমিশনার সুলতান তিমুরী জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করেন। তিনি বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বের ভূয়সী প্রশংসা করেন। বঙ্গবন্ধুর নামে ক্যাম্পের নামকরণ করায় কন্টিনজেন্ট কমান্ডার মোহাম্মদ আব্দুল হালিমকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন এবং নিয়ালাসুপার ক্যাম্পের নিরাপত্তা প্রদান ও সুষ্ঠুভাবে সুদান সরকারের নিকট হস্তান্তরে সহযোগীতা করায় বাংলাদেশ এফপিইউ এর ভূয়সী প্রশংসা করেন।
বাংলাদেশের মিশন ইতিহাসে এই প্রথম বাংলাদেশ ফর্মডপুলিশ ইউনিটের কোন ক্যাম্পের নামকরণ জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নামে করা হয়।
ক্যাম্পের নামকরণ করেছেন দারফুরে বাংলাদেশ ফর্মডপুলিশ ইউনিটের কন্টিনজেন্ট কমান্ডার মোহাম্মদ আব্দুল হালিম। বাংলাদেশ ফর্মডপুলিশ ইউনিটে কর্মরত অতিরিক্ত পুলিশসুপার, অপারেশনস অফিসার মাসুকমিয়া পিপিএম এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

বাংলাদেশ ফর্মড পুলিশ ইউনিট ক্যাম্প বঙ্গবন্ধুর নামে নামকরণ প্রসঙ্গে কমান্ডার মোহাম্মদ আব্দুল হালিম বলেন, বিভিন্ন দেশ তাদের নিজস্ব ইতিহাস ঐতিহ্যের নামে তাদের ক্যাম্পের নামকরণ করে থাকে। যেমন তাঞ্জানিয়া ক্যাম্পের নাম কিলিমানজারো, ইন্দোনেশিয়ার ক্যাম্পের নাম গারুদা। আমি মনে করি বঙ্গবন্ধু মানেই বাংলাদেশ। বাংলাদেশের ইতিহাস ঐতিহ্য এবং জাতির জনককে বিশ্বেরবুকে পরিচিত করার লক্ষ্যে বাংলাদেশ ফর্মড পুলিশ ইউনিটের ক্যাম্পের নামকরণ বঙ্গবন্ধুর নামে করা হয়েছে।
এলফেশার সুপার ক্যাম্পে বর্তমানে৩৫ টি দেশের প্রায় ২০০০ নাগরিক কর্মরত রয়েছে। আমি আশা করি এই নামকরণের মাধ্যমে এই ৩৫ টি দেশের মানুষ বঙ্গবন্ধুর জীবন ও কর্ম সম্পর্কে জানতে উৎসাহী হবে।
পরে পুলিশ কমিশনার ড. সুলতান তিমুরী বঙ্গবন্ধু ক্যাম্পের ডাইনিং হলের এন্টি রুমে বঙ্গবন্ধুর ছবি সম্বলিত ফটোগ্রালারী পরিদর্শন করেন।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশ ফর্মডপুলিশ ইউনিট রোটেশন-১১, গত ২৫ মে নিয়ালা সুপার ক্যাম্পে তাদের কর্মকান্ড শুরু করে। গত ১৯ নভেম্বর নিয়ালা সুপার ক্যাম্প সুদান সরকারের নিকট হস্তান্তরিত হয়।
বর্তমানে বাংলাদেশ ফর্মড পুলিশ ইউনিট এলফেশার সুপার ক্যাম্পের নিরাপত্তার দায়িত্বে নিয়োজিত রয়েছে।
ইতোপূর্বে নিয়ালায় বাংলাদেশ ফর্মড পুলিশ ইউনিটের ক্যাম্পের সেমিনার হলের নামকরণ বঙ্গবন্ধুর নামে করা হয়েছিল। জাতিসংঘের ইউনেস্কো কর্তৃক বঙ্গবন্ধুকে ওর্য়াল্ড ফ্রেন্ড উপাধি দেওয়ায় বাংলাদেশ ফর্মড পুলিশ ইউনিট র্যালির আয়োজন করে এবং নিয়ালা সুপার ক্যাম্পে বঙ্গবন্ধু মেডিটেশন পার্ক স্থাপন করে। এছাড়াও নিয়ালা জাদুঘরে আরবী ভাষা সম্বলিত বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতি প্রদান করে এবং নিয়ালা বিশ্ববিদ্যালয়ে বঙ্গবন্ধুর জীবন ও কর্ম নিয়ে ইংরেজী ভাষায় অনুদিত বই উপহার প্রদান করে।
বাংলাধারা/এফএস/টিএম
				












