২৫ অক্টোবর ২০২৫

সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়য়ের ৮৮তম জন্মদিন আজ

বাংলাধারা প্রতিবেদন»

আধুনিক বাংলা সাহিত্যের অন্যতম জনপ্রিয় লেখক সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়। তিনি একাধারে কবি, ঔপন্যাসিক, ছোটগল্পকার, সম্পাদক, সাংবাদিক ও কলামিস্ট। ১৯৩৪ সালের ৭ সেপ্টেম্বর জন্মগ্রহণ করেন জনপ্রিয় বাঙালি সাহিত্যিক সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়।

তাকে জীবনানন্দ-পরবর্তী সময়ের আধুনিক বাংলা কবিতায় অন্যতম প্রধান কবি বলা হয়। লেখক জীবনে তিনি নীললোহিত, সনাতন পাঠক ও নীল উপাধ্যায় ইত্যাদি ছদ্মনাম ব্যবহার করতেন। খ্যাতিমান এই সাহিত্যিক বাংলাদেশের মাদারীপুরে জন্মগ্রহণ করেন। তবে সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় চার বছর বয়সে পরিবারের সঙ্গে কলকাতায় চলে যান। সেখানই শুরু হয় তার শিক্ষাজীবন।

শিক্ষাজীবন শেষ করে কিছুদিন চাকরি করেন। তারপর শুরু করেন সাংবাদিকতা। সাংবাদিকতা করার সময়ে যুক্তরাষ্ট্রে পড়তে যান তিনি। ডিগ্রি হয়ে গেলে কিছুদিন ওই বিশ্ববিদ্যালয়ে উপগ্রন্থাগারিক হিসেবে কাজ করেন। সেই চাকরিতেও বেশিদিন ছিলেন না। চাকরি কলকাতা আসেন। আবার শুরু করেন সাংবাদিকতা।

সুনীলের বিখ্যাত বইগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো- ‘আমি কী রকম ভাবে বেঁচে আছি’, ‘যুগলবন্দী’ (শক্তি চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে), ‘হঠাৎ নীরার জন্য’, ‘রাত্রির রঁদেভূ’, ‘শ্যামবাজারের মোড়ের আড্ডা’, ‘অর্ধেক জীবন’, ‘অরণ্যের দিনরাত্রি’, ‘অর্জুন’, ‘প্রথম আলো’, ‘সেই সময়’, ‘পূর্ব পশ্চিম’, ‘ভানু ও রাণু’, ‘মনের মানুষ’ ইত্যাদি। লিখেছেন ‘কাকাবাবু’ নামে জনপ্রিয় গোয়েন্দা সিরিজ।

২০০২ সালে সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় কলকাতা শহরের শেরিফ নির্বাচিত হন। ১৯৭২ ও ১৯৮৯ সালে আনন্দ পুরস্কার এবং ১৯৮৫ সালে সাহিত্য আকাদেমি পুরস্কারে ভূষিত হন তিনি। এ ছাড়া অসংখ্য পুরস্কার ও সম্মাননায় ভূষিত হন।

২৩ অক্টোবর ২০১২ তারিখে হৃদযন্ত্রজনিত অসুস্থতার কারণে তিনি মৃত্যুবরণ করেন। ২০০৩ সালের ৪ এপ্রিল সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় কলকাতার ‘গণদর্পণ’কে সস্ত্রীক মরণোত্তর দেহ দান করে যান। কিন্তু সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের একমাত্র পুত্রসন্তান সৌভিক গঙ্গোপাধ্যায়ের ইচ্ছেতে তার দেহ দাহ করা হয়।

বাংলাধারা/এফএস/এফএস

আরও পড়ুন