২৮ অক্টোবর ২০২৫

সেই নবজাতক উদ্ধার হয়নি ২৪ ঘন্টায়ও

বাংলাধারা প্রতিবেদক»

দিনে-দুপুরে নার্স সেজে ক্লিনিকে এসে নবজাতককে নিয়ে উধাও নারী। পেরিয়েছে একে একে ২৪টি ঘন্টা। তবে এখনও ওই নবজাতককে উদ্ধার করতে পারেনি পুলিশ। তবে পুলিশ বলছে, তারা ওই নবজাতককে উদ্ধারে জোর তৎপরতা চালাচ্ছেন। ক্লিনিকেরই এক কর্মচারীর এ ঘটনার সঙ্গে সম্পৃক্ততা রয়েছে—এমন সূত্র ধরেই এগোচ্ছেন তারা।

এর আগে রবিবার (২৮ আগস্ট) বিকেল ৪টার দিকে ইপিজেড থানার হাসপাতাল গেইট এলাকার মমতা মাতৃসদন নামে ক্লিনিক থেকে একদিন বয়সী ছেলে নবজাতককে চুরি করে এক অজ্ঞাত নারী

চুরি হওয়া নবজাতক আনোয়ারা উপজেলার গহিরা এলাকার মো. শহিদ ও তাসমিন আক্তার দম্পতির সন্তান।

ভুক্তভোগীর স্বজনরা জানান, ২৭ আগস্ট‌ সকাল ১০টার দিকে শহিদুল তার স্ত্রীকে গর্ভবতী অবস্থায় মমতা মাতৃসদন হাসপাতালে ভর্তি করান। এরপর দুপুরের দিকে সিজার অপারেশনে ওই দম্পতির কোলজুড়ে আসে একটি ছেলে সন্তান। এরপর গতকাল বেলা ৩টার দিকে অজ্ঞাত এক মহিলা ক্লিনিকে আসেন চট্টগ্রাম মেডিকেলের নার্স পরিচয়ে। এরপর টিকা দেয়ার কথা বলে নবজাতককে নিয়ে উধাও হয়ে যান।

নবজাতকের বাবা শহিদুল বাংলাধারাকে বলেন, ‘আমার ছেলেকে দিনেদুপুরে বাহিরের একজন মহিলা নার্স সেজে এসে এভাবে নিয়ে গেল। অথচ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ টেরই পেল না সে হাসপাতালের কেউনা! এটা আমার বিশ্বাস হয়না। আমার সন্তান চুরির সঙ্গে নিশ্চয়ই ক্লিনিকের কেউ জড়িত আছে। আমি আমার বাচ্চাকে চাই, আর কিচ্ছু চাইনা।’

নবজাতকের মামা রায়হান বলেন, দুপুরের দিকে নার্স পরিচয়ে অজ্ঞাত এক নারী ক্লিনিকে এসে টিকা দেয়ার কথা বলে আমার ভাগ্নেকে নিয়ে দুই তলা থেকে নিচতলায় নিয়ে যান। পরে নিচতলায় গিয়ে নার্স ও শিশুটিকে পাওয়া যায়নি। অনেক খোঁজার পর সন্ধ্যার দিকে সিসিটিভি ফুটেজ দেখে নিশ্চিত হওয়া যায় নার্স পরিচয়ে ওই নারী নবজাতককে চুরি করে নিয়ে গেছে।’

সিএমপির উপ পুলিশ কমিশনার (বন্দর‌) শাকিলা সুলতানা বাংলাধারাকে বলেন, ‘সিসিটিভে ফুটেজে আমরা যেটি দেখেছি, ওখানকার একজন কর্মচারী বেশ কয়েকবার  নার্স সেজে আসা ওই মহিলার আশেপাশেই ছিল। আমরা সন্দেহ করছি উনি কোনভাবে জড়িত থাকতে পারে।’

তিনি বলেন, ‘এই সন্দেহের আরও একটি কারণও রয়েছে। অতীতে তার বিরুদ্ধে বাচ্চা বদলে ফেলার অভিযোগ ছিল। আমরা সেই সূত্র ধরেই এগিয়ে যাচ্ছি।’

বাংলাধারা/আরএইচআর

আরও পড়ুন