২৮ অক্টোবর ২০২৫

সেই মিনুর দুই সন্তানের দায়িত্ব নিচ্ছে কেএসআরএম

বাংলাধারা প্রতিবেদন »

অন্যের হয়ে জেলখাটা মিনু আক্তারের দুই সন্তান ইয়াসিন (১২) ও গোলাপের (৯) পড়ালেখা ও ভরণপোষণের দায়িত্ব নিচ্ছে দেশের অন্যতম ইস্পাত নির্মাণ শিল্প প্রতিষ্ঠান কেএসআরএম।

প্রতিষ্ঠানটির উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক শাহরিয়ার জাহান রাহাত মিনুর দুই সন্তানের দায়িত্ব নেওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করেন।

বিষয়টি নিশ্চিত করেন কেএসআরএমের মিডিয়া অ্যাডভাইজার মিজানুল ইসলাম।

এসময় তিনি বলেন, ‘কোম্পানির উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক শাহরিয়ার জাহান রাহাতের আগ্রহের কথা ইতোমধ্যে জেলা প্রশাসককে জানানো হয়েছে। মূলত জেলা প্রশাসকের নির্দেশনা অনুযায়ী কেএসআরএম করণীয় নির্ধারণ করবে।’

এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক মমিনুর রহমান বলেন, ‘কেএসআরএম মিনুর দুই সন্তানের পড়ালেখা ও ভরণপোষণের দায়িত্ব নিতে চায়। তারা এটি আমাদের জানিয়েছে। আমরাও চাই ওই দুই শিশু সমাজের অন্য ৮/১০ ছেলে মেয়ের মতো সুযোগ-সুবিধা পেয়ে বড় হোক। তাই কেএসআরএমের প্রস্তাবে আমরা সম্মতি দিয়েছি। খুব শিগগির অনুষ্ঠানিক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে কেএসআরএমকে এই দায়িত্ব দেওয়া হবে।’

মিনুর দুই সন্তানের পড়ালেখা ও ভরণপোষণের দায়িত্ব নিতে চাওয়ায় কেএসআরএমের প্রশংসা করেন মিনুর আইনজীবী গোলাম মাওলা মুরাদ। তিনি বলেন, ‘কেএসআরএমের এমন উদারতা নিঃসন্দেহে প্রশংসার দাবিদার।’

প্রসঙ্গত, স্বামী ছেড়ে চলে যাওয়ার পর মিনু আক্তার তার তিন সন্তানের ভরণপোষণের আশ্বাসে অন্যের হয়ে কারাগারে যান। সম্প্রতি বিষয়টি আদালতে নজরে আনেন তার আইনজীবী। এরপর আইনি প্রক্রিয়া শেষে গত ১৬ জুন মিনু কারাগার থেকে মুক্তি পান। এরমধ্যে নানা অভাব অনটনে মারা যায় মিনুর কন্যসন্তান জান্নাত। কারামুক্তির ১৩ দিনের মাথায় রহস্যজনক সড়ক দুর্ঘটনায় মিনুও মারা যান। গত ২৮ জুন দিবাগত রাতে চট্টগ্রাম নগরের বায়েজিদ বোস্তামী ফৌজদার হাট সংযোগ সড়কের আরেফিন নগর এলাকায় মিনুকে গাড়িচাপা দেয়। এতে গুরুতর আহত হন তিনি। খবর পেয়ে পুলিশ তাকে উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করান। সেখানে ২৯ জুন ভোরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান মিনু। কোনও পরিচয় না পাওয়ায় এক দিন পরে অজ্ঞাত হিসেবে তার লাশ দাফন করে আঞ্জুমান মফিদুল ইসলাম। ৩ জুলাই রাতে পুলিশ ও তার পরিবারের সদস্যরা নিশ্চিত হন যে অজ্ঞাত হিসেবে দাফন করা লাশটি মিনুর।

বাংলাধারা/এআই

আরও পড়ুন