বাংলাধারা প্রতিবেদন »
বঙ্গোপসাগরে সেন্টমার্টিনের কাছে মালয়েশিয়াগামী ট্রলারডুবির ঘটনায় ১৯ জন দালালকে আসামি করে মামলা করেছে কোস্টগার্ড।
বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) সকালে টেকনাফ মামলাটি দায়ের করেন কোস্টগার্ড কর্মকর্তা এম্ এস ইসলাম।
এতে প্রধান আসামি করা হয়েছে টেকনাফ উপজেলার বাহারছড়া ইউনিয়নের নোয়াখালীয়াপাড়া এলাকার সৈয়দ আলমকে। এই ঘটনায় মঙ্গলবার রাত থেকে বুধবার সকাল পর্যন্ত আটক ৮ জনকে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে। মানবপাচারের এ মামলায় রোহিঙ্গা ও স্থানীয় নাগরিক উভয়েই রয়েছে।গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন টেকনাফ থানার ওসি প্রদীপ কুমার দাস।
তিনি জানান, সেন্টমার্টিনের কাছে ডুবন্ত কোরালে ধাক্কা লেগে ট্রলারডুবির ঘটনার মঙ্গলবার জীবিত উদ্ধার ৭২ জনকে টেকনাফ থানা হেফাজতে রাখা হয়েছে। বুধবার সকালে সাগর থেকে উদ্ধার করা আরও একজনকে সেন্টমার্টিনেই রাখা হয়েছে। এ নিয়ে মোট ৭৩ জনকে উদ্ধার করেছে কোস্টগার্ড ও নৌবাহিনীর সদস্যরা। তাদের পরবর্তীতে কোথায় রাখা হবে সে নির্দেশনা আদালত দেবে। পুলিশ আদালতের নির্দেশনার অপেক্ষায় আছে বলে জানান তিনি।
এর আগে, মঙ্গলবার প্রেস ব্রিফিংয়ে কোস্টগার্ড জানায়, ১৩৮ জনকে বহনকারী ছোট ট্রলারটি ডুবন্ত কোরালের সঙ্গে ধাক্কা লেগে তলা ফেটে ডুবে যায়। নিহতদের অনেকের মরদেহ পানির নিচ থেকে টেনে বের করে আনতে হয়েছে। এই ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৫ জনের মৃতদেহ এবং জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে ৭৩ জনকে। বাকিরা নিখোঁজ রয়েছেন।
গত ১০ ফেব্রুয়ারি রাতে টেকনাফ উপজেলার বাহারছড়া ইউনিয়নের নোয়াখালীয়াপাড়া থেকে অবৈধভাবে সাগর পথে মালয়েশিয়া যাওয়ার সময় সেন্টমার্টিনের কাছে পাথরের সঙ্গে ধাক্কা লেগে পানিতে ডুবে যায় ট্রলারটি। পরে মাছ ধরার জেলেদের মাধ্যমে খবর পেয়ে উদ্ধার অভিযান শুরু করে বাংলাদেশ কোস্টগার্ড ও নৌবাহিনীর সদস্যরা।
বাংলাধারা/এফএস/টিএম













