কক্সবাজার সমুদ্র বন্দরে ৩ নম্বর সতর্ক সংকেত জারি এবং বৈরী আবহাওয়ার কারণে সাগর উত্তাল থাকায় সেন্টমার্টিন-টেকনাফ নৌপথে সকল ধরনে নৌ-যান চলাচল আগামীকাল ২৪ অক্টোবর থেকে বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত এই আদেশ অব্যহত থাকবে বলে জানানো হয়।
সোমবার (২৩ অক্টোবর) বেলা ২টার দিকে বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপ সৃষ্টি কারণে আবহাওয়া অধিদপ্তর ৩ নম্বর সর্তক সংকেত জারির পর পরই টেকনাফ উপজেলা প্রশাসন এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে জানিয়েছেন টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আদনান চৌধুরী।
ইউএনও বলেন, নিম্নচাপ তৈরি হলে আবহাওয়া অধিদপ্তর ৩ নম্বর সতর্ক সংকেত জারি করে। এ কারণে আগামী ২৪ অক্টোবর থেকে সেন্টমার্টিনগামী পর্যটকবাহী জাহাজ, স্পীড বোট কাঠের বোট বা যে কোন জলযান চলাচল পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত বন্ধ ঘোষণা করা হলো। সেন্টমার্টিন দ্বীপে অবস্থানরত সকল পর্যটকগনকে দ্বীপ ত্যাগ করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এ আদেশের পর সেন্টমার্টিন ইউনিয়ন পরিষদ ও বীচ কর্মীদের মাধ্যমে মাইকিং করে দ্বীপের সকলকে সতর্ক করা হচ্ছে।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) টেকনাফের ট্রাফিক সুপারভাইজার মো. জহির উদ্দিন ভূঁইয়া বলেন, সোমবার (২৩ অক্টোবর) সকালে এক হাজার ১৫০ জন যাত্রী নিয়ে তিনটি পর্যটকবাহী জাহাজ কেয়ারি ক্রুজ অ্যান্ড ডাইন, বার আউলিয়ার ও কেয়ারি সিন্দবাদ টেকনাফ দমদমিয়া জেটিঘাট থেকে সেন্টমার্টিন উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়। হঠাৎ সাগর উত্তাল হওয়ার কারনে
আবহাওয়া অধিদপ্তর ৩ নম্বর সর্তক সংকেত জারি করে। এ কারনে আগামীকাল ২৪ অক্টোবর থেকে সেন্টমার্টিন ও টেকনাফ নৌপথে জাহাজ চলাচল বন্ধ ঘোষণা হয়েছে।
সেন্টমাটিন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমান বলেন, সাগর উত্তালের কারনে উপজেলা প্রশাসনের নির্দেশনায় দ্বীপে অবস্থানরত সকল পর্যটককে মাইকিং করে সর্তক করার পাশাপাশি সবাইকে দ্বীপ থেকে টেকনাফে ফিরে যেতে বলা হচ্ছে। আগামীকাল থেকে সেন্টমার্টিন-টেকনাফ নৌপথে জাহাজ চলাচল করবেনা বলেও জানিয়ে দেয়া হচ্ছে।
উল্লেখ্য, বিশ্ব পর্যটন দিবস উপলক্ষে গত ২৭ সেপ্টেম্বর থেকে পর্যটন মৌসুম শুরু হয়। এরপর থেকে টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌপথে বৈরী আবহাওয়ার কারণে এ পর্যন্ত দু’বার জাহাজ চলাচল বন্ধ রাখা হয়। এর আগে বিশ্ব পর্যটন দিবস উপলক্ষে সাতদিনের জন্য এমভি ‘বার আওলিয়া’ নামে একটি জাহাজকে পরীক্ষামূলকভাবে এ নৌপথে চলাচলের অনুমতি দেয় জেলা প্রশাসন। এরপর থেকে পর্যাক্রমে তিনটি পর্যটক বাহী জাহাজ চলাচল শুরু হয়েছে।
