ঘূর্ণিঝড় হামুনের কারণে আবহাওয়া অধিদপ্তর কতৃর্ক জারিকৃত সর্তক সংকেত প্রত্যাহার করার পর সেন্টমার্টিন-টেকনাফ নৌপথে জাহাজ চলাচল শুরু করা হয়।
বৃহস্পতিবার (২৬ অক্টোবর) সকাল ৯টার দিকে টেকনাফের দমদমিয়া জেটিঘাট থেকে এমভি বার আউলিয়া, কেয়ারি সিন্দাবাদ ও কেয়ারি ডাইন এন্ড ক্রুজ এ তিনটি জাহাজ সেন্টমার্টিনের উদ্দেশ্যে ছেড়ে গিয়ে সন্ধ্যায় টেকনাফে ফিরে আসে বলে জানিয়েছেন টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আদনান চৌধুরী। এ তিন জাহাজে ৮জন বিদেশী সহ ১৩৫০ জন পর্যটক দ্বীপে পৌছেছে।
ইউএনও বলেন, গত বুধবার বিকালের দিকে সমুদ্রবন্দর থেকে সতর্ক সংকেত প্রত্যাহার করা হয়েছে। ফলে দু’দিন পর বৃহস্পতিবার সকাল থেকে টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌপথে পর্যটকবাহী জাহাজসহ সব ধরনের নৌযান চলাচল শুরু করছে। বৃহস্পতিবার সকাল ৯টার দিকে টেকনাফ দমদমিয়া জেটিঘাট থেকে সেন্টমার্টিনের উদ্দেশ্যে তিনটি জাহাজ ছেড়ে যায়। দ্বীপে স্বেচ্ছায় থেকে যাওয়া দেড় শতাধিক পর্যটকও ফিরে এসেছে বলে উল্লেখ করেন ইউএনও।
সেন্টমার্টিন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমান বলেন, সাগর থেকে সংকেত প্রত্যাহারের পর বৃহস্পতিবার দুপুরের দিকে তিনটি জাহাজ পর্যটক নিয়ে দ্বীপে আসে। বিকাল ৩টার পরে জাহাজ গুলো পর্যটক নিয়ে টেকনাফের উদ্দেশ্যে রওনা দেয়। গত সোমবার উপজেলা প্রশাসনে নির্দেশে দ্বীপ ছেড়ে যাওয়ার জন্য সকল পর্যটককে মাইকিং করে বলা হলেও তখন দেড় শতাধিক পর্যটক স্বেচ্ছায় দ্বীপে রয়ে গিয়েছিল। তারাও ফিরে গেছেন।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহন কর্তৃপক্ষ- বিআইডব্লিউটিএ টেকনাফের ট্রাফিক সুপারভাইজার মো. জহির উদ্দিন ভূঁইয়া বলেন, সতর্ক সংকেত থাকায় দুই দিন সেন্টমার্টিন নৌপথে পর্যটকবাহী জাহাজ, সার্ভিস ট্রলার ও স্পিডবোট সহ সব নৌযান চলাচল বন্ধ রাখা হয়।আবহাওয়া পরিবেশ ভালো হওয়ার পর সংকেত প্রত্যাহার করা হলে বৃহস্পতিবার সকালে এম ভি বার আউলিয়া, কেয়ারি সিন্দাবাদ ও কেয়ারি ডাইন এন্ড ক্রুজ এ তিনটি জাহাজে ৮জন বিদেশীসহ ১৩৫০ জন পর্যটক নিয়ে দ্বীপে যায়, সন্ধ্যায় আবার ফিরে আসে।
উল্লেখ্য, সোমবার ঘূর্ণিঝড় হামুনের কারনে আবহাওয়া অধিদপ্তর কক্সবাজার সমুদ্র বন্দরে সর্তক সংকেত জারির পর মঙ্গলবার থেকে সেন্টমার্টিন-টেকনাফ নৌপথে সকল ধরনের নৌযান চলাচল বন্ধের নির্দেশ দেয় টেকনাফ উপজেলা প্রশাসন। এরপর থেকে গত দু’দিন জাহাজ চলাচল বন্ধ রাখা হয়। দ্বীপে মাইকিং করলে দ্বীপ ছাড়েন প্রায় ১৪০০ পর্যটক আর স্বেচ্ছায় রয়ে গিয়েছিল দেড় শতাধিক।
 
				












