২৮ অক্টোবর ২০২৫

স্কুল শিক্ষিকাকে তুলে নিয়ে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ

কক্সবাজার প্রতিনিধি »

কক্সবাজারে বিয়ের অনুষ্ঠান থেকে ফেরার পথে রাস্তা থেকে তুলে নিয়ে একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সঙ্গীত শিক্ষিকাকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। গত শুক্রবার (১৯ আগস্ট) সকাল সাড়ে সাতটার দিকে সদর উপজেলার ঝিলংজায় এ ধর্ষণের ঘটনা ঘটে।

সোমবার (২২ আগস্ট) দিনগত রাত ১২ টার দিকে কক্সবাজার সদর উপজেলার পিএমখালি ইউনিয়নের ছনখোলা এলাকার ইউনুছ ঘোনা গ্রামের হাবিবুর রহমানের ছেলে বেদার মিয়াকে (২৮) প্রধান এবং অজ্ঞাতনামা তিনজনকে অভিযুক্ত করে কক্সবাজার সদর মডেল থানায় মামলা রেকর্ড করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন কক্সবাজার সদর মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. সেলিম উদ্দিন।

এজাহারের দেয়া তথ্যমতে, গেলো ১৮ আগস্ট রাতে ভিকটিম পিএমখালীর মালিপাড়ায় তার ভাগ্নির মেহেদী অনুষ্ঠানে গিয়েছিলেন। সেখানেই পরিচয় বেদার মিয়ার সাথে। পরদিন ১৯ আগস্ট সকাল সাড়ে সাতটার দিকে বিয়ে বাড়ি থেকে টমটম (ব্যাটারি চালিত অটোরিকশা) যোগে তিনি বাড়ি ফিরছিলেন। পথে ঝিলংজা ইউনিয়নের বাংলাবাজার ব্রিজ নামক এলাকায় পৌঁছালে বেদার ও তার সহযোগীরা গতিরোধ করে। দেশীয় অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে ওই ইউনিয়নের চান্দের পাড়ার আল বয়ান ইনস্টিটিউটের সামনের নির্মাণাধীন ভবনে নিয়ে পালাক্রমে তিনজন ধর্ষণ করে তাকে ফেলে রেখে চলে যায়।

এ বিষয়ে মামলার বাদী বলেন, সেদিন বেদারসহ ৪ জন আমার টমটম গতিরোধ করে। আমাকে জোর করে তাদের গাড়িতে তুলে নিয়ে যায়। এদের মধ্যে একজন আমার সাথে কোন কিছু না করলেও বেদার ও তার দুই সঙ্গী আমাকে নির্যাতন চালায়।

মামলার নথিভুক্ত হতে দেরি হলো কেন— এমন প্রসঙ্গে জানতে চাইলে ভিকটিমের এক স্বজন বলেন, তিনি রামু উপজেলার একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সঙ্গীত শিক্ষক। এজন্য প্রথমে রামু থানায় গেলে সেখান থেকে কক্সবাজার সদর মডেল থানা আসি আমরা। অবশেষে সোমবার (২২ আগস্ট) রাতে মামলা নিয়েছে কক্সবাজার সদর মডেল থানা।

কক্সবাজার সদর মডেল থানার ওসি তদন্ত মো. সেলিম উদ্দিন বলেন, ওই নারীর এজাহার পাওয়ার পর মামলা লিপিবদ্ধ করা হয়েছে। আসামি গ্রেফতারে পুলিশের একাধিক টিম মাঠে কাজ করছে।

আরও পড়ুন