৭ নভেম্বর ২০২৫

বাবুল আক্তারকেই প্রধান আসামি করে পিবিআইয়ের চার্জশিট

বাংলাধারা প্রতিবেদন »

মাহমুদা খানম মিতু হত্যা মামলার তার স্বামী সাবেক পুলিশ সুপার (এসপি) বাবুল আক্তারকে প্রধান আসামি করে মোট ৭ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র (চার্জশিট) জমা দিয়েছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।

মঙ্গলবার (১৩ সেপ্টেম্বর) বিকেলে পিবিআই চট্টগ্রাম মেট্রোর পরিদর্শক (ইন্সপেক্টর) মো. ওমর ফারুক চট্টগ্রামের আদালতে এ চার্জশিট জমা দেন।

চার্জশিটে প্রধান আসামি বাবুল আক্তারসহ বাকি ছয় আসামি হলেন- মো. কামরুল ইসলাম শিকদার ওরফে মুসা, এহতেশামুল হক ওরফে ভোলা, মো. মোতালেব মিয়া ওরফে ওয়াসিম, মো. আনোয়ার হোসেন, মো. খাইরুল ইসলাম ওরফে কালু ও শাহজাহান মিয়া।

এদের মধ্যে কারাগারে আছেন বাবুল, ওয়াসিম, শাহজাহান ও আনোয়ার। জামিনে আছেন এহতেশামুল। মুসা ও কালু পলাতক।

অন্যদিকে চারজনকে মামলা থেকে অব্যাহতির সুপারিশ করা হয়েছে অভিযোগপত্রে। তারা হলেন- সাইদুল ইসলাম শিকদার ওরফে সাক্কু, নুরুন্নবী, মো. রাশেদ ও আবু নাছের। এরমধ্যে রাশেদ ও নুরুন্নবী ঘটনার পরের সপ্তাহে পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত হন।

পিবিআই সদরদপ্তরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া) আবু ইউসুফ এসব তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, ‘বাবুল আক্তারকে প্রধান আসামি করে অভিযোগপত্র জমা দেওয়া হয়েছে। অভিযোগপত্রে বাবুল ছাড়া আরও ছয়জনকে আসামি করা হয়েছে। এতে সাক্ষী করা হয়েছে ৯৭ জনকে।’

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পিবিআইয়ের পরিদর্শক আবু জাফর মোহাম্মদ ওমর ফারুক বলেন, মিতু হত্যা মামলায় বাবুল আক্তারসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে আদালতের প্রসিকিউশন শাখায় অভিযোগপত্র জমা দিয়েছি। সেই সঙ্গে মামলার তদন্ত সংশ্লিষ্ট কাগজপত্র আদালতে জমা দেওয়া হয়েছে।

এ মামলার তদারকি কর্মকর্তা পিবিআইয়ের পুলিশ সুপার নাইমা সুলতানা বলেন, মিতু হত্যা মামলার তদন্ত শেষ করে চার্জশিট আদালতে জমা দেওয়া হয়েছে। সর্বোচ্চ পেশাদারিত্ব দিয়ে এ মামলার তদন্ত করা হয়েছে।

তিনি বলেন, হত্যাকাণ্ড কেন সংঘটিত হয়েছে তা অনেকবার বলেছি। বাকিটা আদালতে বিচারের সময় পাওয়া যাবে। সব রকমের তথ্য প্রমাণের ভিত্তিতে আসামিদের বিরুদ্ধে চার্জশিট দেওয়া হয়েছে। আড়াই বছর তদন্ত শেষে প্রতিবেদন জমা দিয়েছি। আমরা সাক্ষ্য প্রমাণ পেয়েছি কারা কারা জড়িত। বাবুল আক্তার কীভাবে হত্যাকাণ্ডে জড়িত তার তথ্য প্রমাণও পাওয়া গেছে।

প্রসঙ্গত, ২০১৬ সালের ৫ জুন ছেলেকে স্কুলবাসে তুলে দিতে যাওয়ার সময় চট্টগ্রাম মহানগরের জিইসি এলাকায় বাবুলের স্ত্রী মাহমুদাকে কুপিয়ে ও গুলি করে হত্যা করা হয়। পরদিন ৬ জুন বাবুল আক্তার বাদী হয়ে পাঁচলাইশ থানায় হত্যা মামলা করেন।

তদন্ত শেষে পিবিআই গত বছরের ১২ মে এ মামলায় চূড়ান্ত প্রতিবেদন দেয়। একই দিন বাবুলের শ্বশুর সাবেক পুলিশ কর্মকর্তা মোশাররফ বাদী হয়ে পাঁচলাইশ থানায় হত্যা মামলা করেন। এ মামলায় বাবুলসহ আটজনকে আসামি করা হয়।

মিতু হত্যার ঘটনায় দুটি মামলাই তদন্ত করছেন পিবিআইয়ের পরিদর্শক আবু জাফর মোহাম্মদ ওমর ফারুক। এর মধ্যে বাবুল আক্তারের করা মামলাটির অধিকতর তদন্ত চলাকালে আদালতের আদেশে চলতি বছরের ৯ জানুয়ারি বাবুল আক্তারকে নিজের করা মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়। আজ (১৩ সেপ্টেম্বর) বাবুলের করা মামলায় তার বিরুদ্ধেই চার্জশিট দেওয়া হলো।

আরও পড়ুন

এ সম্পর্কিত আরও

সর্বশেষ