১৭ ডিসেম্বর ২০২৫

স্বপ্নের সেতুতে জুড়ে গেল পদ্মার এপার-ওপার

বাংলাধারা প্রতিবেদন »

বিজয়ের মাসে আরেকটি বিজয়। বহু আকাঙ্ক্ষিত এক যাত্রার অবসান হয়েছে আজ। সত্যি হলো স্বপ্ন। দৃশ্যমান হলো পুরো পদ্মা সেতু। সংযুক্ত হলো পদ্মার এপাড়-ওপাড়, মুন্সিগঞ্জের মাওয়া থেকে শরীয়তপুরের জাজিরা। অবশেষে অবসান হলো পুরো জাতির দীর্ঘ অপেক্ষার, পূর্ণ হলো পদ্মার দুই পাড়ের অজস্র মানুষের স্বপ্ন।

ঘন কুয়াশা, ঝড়-বৃষ্টি কিংবা নাব্যতা সংকট, এর কোনো একটি হলেই ফেরি ও লঞ্চসহ সব ধরনের নৌযান বন্ধ হয়ে যায়। ফলে প্রায়ই ফেরি পারের অপেক্ষায় ঘাটে আটকে থাকতে হয় কয়েক ঘণ্টা থেকে শুরু করে প্রায় আধাদিন বা একদিন। ফেরির অপেক্ষায় থাকতে থাকতে ঘাটে রোগীর মৃত্যুর মতো ঘটনাও ঘটেছে। পদ্মা সেতুর কারণে এমন চরম ভোগান্তি থেকে অবশেষে মুক্তি পেতে যাচ্ছে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ২১ জেলার জনগণ।  

পদ্মা নদীতে এখন দৃশ্যমান পদ্মাসেতুর ৬.১৫ কিলোমিটার। বৃহস্পতিবার (১০ ডিসেম্বর) সকালে মুন্সিগঞ্জের মাওয়া প্রান্তে সেতুর ১২ ও ১৩ নম্বর পিলারের ওপর বসানো হয়েছে ৪১তম, অর্থাৎ সর্বশেষ স্প্যানটি। ৪০তম স্প্যান বসানোর ৬ দিনের মাথায় বসানো হলো এ স্প্যান। ১৫০ মিটার দৈর্ঘ্যের একটি স্প্যান বসানোয় ৬ হাজার ১৫০ মিটার সেতুর অবকাঠামো দৃশ্যমান হলো।  

এখন সড়ক ও রেলের স্প্যান বসানো সম্পন্ন হলে চলাচল শুরু হবে গাড়ি ও রেল। ধারণা করা হচ্ছে আগামী বছরের ডিসেম্বরে স্বপ্নের এ সেতু চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হবে।

৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ বহুমুখী এ সেতু হবে দোতলা। পদ্মাসেতুর মূল কাঠামো স্টিলের, যা স্প্যান নামে পরিচিত।  এই স্প্যানের ওপর কংক্রিটের প্রলেপ দিয়ে রাস্তার কাঠামো তৈরি করা হবে; যার ওপর দিয়ে যানবহন চলাচল করবে।

২০১৪ সালের ডিসেম্বরে পদ্মা সেতুর নির্মাণকাজ শুরু হয়। ২০১৭ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর ৩৭ ও ৩৮ নম্বর খুঁটিতে প্রথম স্প্যান বসানোর মধ্য দিয়ে দৃশ্যমান হয় পদ্মা সেতু। এরপর একে একে বসানো হয় সবগুলো স্প্যান।

মূল সেতু নির্মাণের জন্য কাজ করছে চীনের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান চায়না মেজর ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি (এমবিইসি) ও নদীশাসনের কাজ করছে দেশটির আরেকটি প্রতিষ্ঠান সিনো হাইড্রো করপোরেশন।

দুটি সংযোগ সড়ক ও অবকাঠামো নির্মাণ করেছে বাংলাদেশের আবদুল মোমেন লিমিটেড।

বাংলাধারা/এফএস/এআর

আরও পড়ুন

এ সম্পর্কিত আরও

সর্বশেষ