চট্টগ্রামের হাটহাজারীতে জায়গা জমির বিরোধের জেরে প্রতিপক্ষের হামলায় মো. ইউনুছ নামের এর প্রাবসী নিহত হয়েছেন। গত বুধবার সন্ধ্যায় হাটহাজারী উপজেলার পশ্চিম ধলই, মনিয়া পুকুর পাড় এলাকার আরজেনা বাপের বাড়িতে জায়গা জমির বিরোধের জেরে প্রতিপক্ষের হামলায় ইউনুছ গুরুতর আহত হয়। রবিবার বিকালে চমেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি।
নিহত ইউনুস উপজেলার ২নং ধলই ইউনিয়নের ৭ নং ওয়ার্ডস্থ আমির হোসেন প্রকাশ মুন্সি মিয়ার ছেলে। তিনি দীর্ঘ ৬ বছর প্রবাসে ছিলেন। গত কয়েক বছর ধরে স্ত্রী সন্তানদের নিয়ে নিজ বাড়িতে বসবাস করছেন।
এদিকে স্বামী মো.ইউনুছকে হারিয়ে কান্না থামছেনা ১ সন্তানের জননী ও অন্তসত্বা স্ত্রী সোলতানা শারমিনের। আর কোন দিন বাবা ডাকতে পারবেনা বলে জানান নিহতের ছেলে ৮ বছর বয়সী ইসমাঈল হোসেন আদনান।
স্বামী হত্যার ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে ফাঁসির দাবি তুলে ইউনুছের স্ত্রী সোলতানা শারমিন বলেন, স্থানীয় মেম্বার ও গন্যমান্য ব্যাক্তিদের নিয়ে জমিজমা পরিমাপ করার শেষ পর্যায়ে পরিমাপকৃত জমির সীমানা খুঁটি পোতার কাজ করছিলেন আমার স্বামী। খুঁটি পোতার এক পর্যায়ে হঠাৎ প্রতিপক্ষের লোকজন আমার স্বামীর মাথায় ধারালো অস্ত্র দিয়ে মারাত্মকভাবে আঘাত করে। এঘটনায় তিনি গুরুতর আহত হলে উপস্থিত লোকজন তাকে উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে ৪ দিন চিকিৎসাধীন থেকে মারা যান। আমার এক নাবালক শিশু ও অনাগত সন্তান এতিম হয়ে গেলো। যারা আমার সন্তানদের এতিম করেছে তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।
এ ঘটনায় নিহতের বড় ভাই মাহবুল আলম হাটহাজারী থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করলে মূল অভিযুক্ত আসামী নজরুল ইসলামকে আটক করে হাটহাজারী থানা পুলিশ।
গ্রেফতারকৃত নজরুল ইসলাম একই এলাকার মৃত গোলাম হোসেনের ছেলে। পলাতক আসামীরা হলেন—একই এলাকার শফিউল বশর, ইরফান প্রকাশ শুভ, হামিম, মমতাজ বেগম ও মুক্তা আক্তার।
হাটহাজারী মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ রুহুল আমিন সবুজ বলেন, নিহতের বড় ভাই থানায় একটি হত্যামামলা দায়ের করলে মামলার মূল অভিযুক্ত নজরুল ইসলামকে গ্রেফতার করেছি। পলাতক আসামীদের গ্রেফতার করতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে। অবিলম্বে তাদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনা হবে।
ভিডিও:













