আনোয়ারা প্রতিনিধি »
আনোয়ারায় সিলিং ফ্যানের সাথে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে আট মাসের অন্তঃসত্ত্বা এক গৃহবধূ আত্মহত্যা করেছেন। বুধবার দিবাগত রাতে উপজেলার আনোয়ারা সদরের জয়কালী বাজারের উত্তর পাশে এ ঘটনা ঘটে।
গৃহবধূর নাম কলি আক্তার (২০)। তিনি আনোয়ারার বারখাইন গ্রামের প্রবাসী আক্তারুজ্জানের স্ত্রী। গৃহবধূর বাড়ি পটিয়া উপজেলার বড়লিয়া গ্রামে। তিনি স্থানীয় আবুল কালামের মেয়ে। ঘটনার পরপরই নিহতের স্বামী পালিয়ে গেছেন বলে জানা যায়।
পুলিশ লাশের সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করেছেন।
নিহতের স্বজন ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, বারখাইন গ্রাম থেকে এসে আনেয়ারা সদরে জমি কিনে ঘর করে বসবাস করছেন প্রবাসী আক্তারুজ্জামান ও তার বড় ভাই মোজাম্মেল। তার বড় ভাইও দীর্ঘদিন ধরে প্রবাসে থাকেন। আট মাস আগে পটিয়া উপজেলার বড়লিয়া গ্রাম থেকে কলি আক্তারকে বিয়ে করেন আক্তারুজ্জামান। বিয়ের কয়েক মাস পর থেকে বড় ভাইয়ের বউয়ের সাথে পরকীয়ার জেরে প্রায়ই ঝগড়াঝাঁটি হত। একবার ঝগড়া করে বাপের বাড়িতেও চলে যান কলি। কিছুদিন আগে তার স্বামী বাপের বাড়ি থেকে কলি আক্তারকে নিয়ে আসে।
নিহতের মা রুমি আক্তার বলেন, ‘সকালে আমাকে ফোন করে বলে আপনার মেয়ে অসুস্থ। আমি তাড়াতাড়ি ঘটনাস্থলে এসে দেখি আমার মেয়ে ফ্যানের সাথে ঝুলন্ত অবস্থায়। ঘরের মেঝেতে ছোপ ছোপ রক্তের দাগ। আমার মেয়েকে তারা হত্যা করেছে। আমি তাদের শাস্তি চাই।’
নিহত চাচা সাদ্দাম হোসেন বলেন, ‘ভাবীর সাথে পরকীয়া ছিল নিহত স্বামীর। এর প্রতিবাদ করলে প্রায় সময় মারধর করত স্বামী। আমার ভাতিজীকে ভাবী আর দেবর মিলে হত্যা করেছে। আমরা দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।’
আনোয়ারা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এস এম দিদারুল ইসলাম সিকদার বলেন, ‘প্রথমিকভাবে নিহত গৃহবধূ আত্মহত্যা করেছে বলে আমাদের ধারণা। নিহতের গলায় ওড়নার দাগ রয়েছে। লাশের ময়নাতদন্তের রিপোর্ট দেখে পরবর্তী পদক্ষেপ নেয়া হবে।’













