বাংলাধারা প্রতিবেদন »
স্বৈরাচার পতন দিবস আজ। ১৯৯০ সালের ৬ ডিসেম্বর ছাত্র-জনতার উত্তাল গণ-আন্দোলনের চূড়ান্ত পর্যায়ে গণঅভ্যুত্থানের মুখে পদত্যাগে বাধ্য হন স্বৈরশাসক এইচ এম এরশাদ। তার পতনের মধ্য দিয়ে মুক্তি পায় গণতন্ত্র।
এদিন তিন জোটের রূপরেখা অনুযায়ী নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তরে বাধ্য হন তৎকালীন রাষ্ট্রপতি এইচ এম এরশাদ ।
১৯৮২ সালের ২৪ মার্চ বিচারপতি আব্দুস সাত্তারের সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় আসীন হন তৎকালীন সেনাপ্রধান এরশাদ। ১৯৮৬ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মাধ্যমে স্বৈরাচারী এরশাদ সরকার তার সামরিক লেবাস বদলে হন ‘গণতন্ত্রী’। কিন্তু দেশের মানুষ মেনে নেয়নি তাকে। টানা প্রায় ৯ বছর তার বিরুদ্ধে লড়াই করেছে । বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে ১৫ দল, বিএনপির নেতৃত্বে ৭ দল ও বামপন্থীদের নিয়ে গঠিত ৫ দলীয় জোট তীব্র আন্দোলনে নামে।
১৯৯০ সালের নভেম্বরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র আন্দোলন ব্যাপক আকার ধারণ করে। পরে আরও বেগবান হয় ছাত্র-গণআন্দোলন। ৫ ডিসেম্বর রাতে পদত্যাগের কথা ঘোষণা দেন এইচ এম এরশাদ। পরদিন রাজপথে জনতার ঢল নামে। শ্বাসরুদ্ধকর এক পরিস্থিতি থেকে মুক্ত হয় গোটা জাতি। শুরু হয় গণতন্ত্রের নতুন পথ চলা।
এদিকে, দিনটি উপলক্ষে পৃথক বানী দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। এছাড়া, স্বৈরাচার পতন দিবস উপলক্ষে দিনব্যাপী বিভিন্ন রাজনৈতকি দল পৃথক কর্মসূচি গ্রহণ করেছে।
বাংলাধারা/এফএস/টিএম













