বাংলাধারা প্রতিবেদন »
কঠোর লকডাউনে টানা ১১ দিন বন্ধ থাকার পর গতকাল রোববার সারা দেশে খুলেছে দোকান ও শপিংমল। সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী আপাতত স্বাস্থ্যবিধি মেনে সকাল ১০টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত খোলা রাখা যাবে শপিংমল। মার্কেট খুলে দেওয়ার পর থেকেই চট্টগ্রাম নগরীর বিভিন্ন সড়কে যান ও মানুষের চলাচল ব্যাপক পরিমাণ বেড়ে গেছে।
করোনাভাইরাস সংক্রমণ রুখতে গত ১৪ এপ্রিল থেকে চলছে সরকার ঘোষিত কঠোর লকডাউন। কিন্তু দীর্ঘ লকডাউনে ব্যবসায়ী ও সরকারকে বড় ধরনের অর্থনৈতিক ক্ষতি গুনতে হচ্ছে। এ অবস্থায় ধীরে ধীরে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে ফিরতে লকডাউনের বিধিনিষেধ শিথিল করছে সরকার।
সরকার গণপরিবহন চলাচলের অনুমতি না দিলেও বিধিনিষেধ শিথিল করার পরই সড়কে যানবাহন চলাচল বেড়ে গেছে। ব্যক্তিগত গাড়ি, কাভার্ড ভ্যান, অটোরিকশা ও প্যাডেল রিকশার কারণেই নগরীর বিভিন্ন সড়কে যানজট লেগে গেছে।
অন্যদিকে সকালের দিকে মার্কেটগুলোতে ক্রেতা কম থাকলেও সময় যতই গড়িয়েছে ততই ক্রেতার জট বেড়েছে । বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই ক্রেতা ও বিক্রেতাকে মাস্ক ব্যবহার করতে দেখা গেলেও শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখার ক্ষেত্রে উদাসীনতা দেখা গেছে।
নগরীর মার্কেট গুলো ঘুরে দেখা গেছে, মার্কেটের প্রবেশ পথে থাকা নিরাপত্তাকর্মীরা কাউকেই মাস্ক ছাড়া প্রবেশ করতে দিচ্ছেন না। সেই সঙ্গে ক্রেতাদের মলে ঢোকার আগেই স্যানিটাইজ করা হচ্ছে।

হালিশহর জেন্টেল পার্ক শোরুমের বিক্রয়কর্মী রাশেদ বলেন, সরকারের দেওয়া নির্দেশনা অনুযায়ী স্বাস্থ্যবিধি মেনে আমরা আমাদের শো-রুম পরিচালনা করছি। মাস্ক ছাড়া কোন ক্রেতাকেই প্রবেশ করতে দিচ্ছি না। এছাড়া হ্যান্ড স্যানিটাইজ করা হচ্ছে।
নগরীর নিউমার্কেট(বিপণী বিতান) শপিং মলের ব্যবসায়ী জাফর বলেন, সরকারকে আন্তরিকভাবে ধন্যবাদ, শপিংমলগুলো খুলে দেওয়ার জন্য।
সড়কগুলোতে দায়িত্বরত ট্রাফিক পুলিশ বলেন রোববার(২৫ এপ্রিল) থেকে সব দোকানপাট, শপিংমল এবং মার্কেট খোলার কারণে সব সড়কে যানবাহন ও মানুষের চাপ বেড়েছে। গণপরিবহন চলাচলের অনুমতি না দেওয়ায় সিএনজি, মোটরসাইকেল, প্রাইভেটকারে মার্কেট, কর্মস্থল ও প্রয়োজনীয় কাজে যাচ্ছেন মানুষ। সড়কে বেশিরভাগ মানুষকে স্বাস্থ্যবিধি মানতে লক্ষ করা গেছে।
বাংলাধারা/এফএস/এআর













