৫ নভেম্বর ২০২৫

হজের নিবন্ধনে দ্বিতীয় চট্টগ্রাম

হজযাত্রী

বাংলাধারা ডেস্ক »

চলতি বছর হজে যেতে সবচেয়ে বেশি যাত্রী নিবন্ধিত হয়েছেন ঢাকা জেলায়। অন্যদিকে সবচেয়ে কম হজযাত্রী নিবন্ধিত হয়েছেন পার্বত্য জেলা বান্দরবানে।

চলতি বছর সরকারি ব্যবস্থাপনায় ১০ হাজার ৩৯ জন ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ১ লাখ ৯ হাজার ৪৪৭ জন হজে যেতে পারবেন। এখন পর্যন্ত সব মিলিয়ে নিবন্ধন করেছেন ১ লাখ ১৯ হাজার ৪৮৬ জন। এর মধ্যে সর্বোচ্চ নিবন্ধনের সংখ্যায় আছে ঢাকা জেলা। এই জেলা থেকে হজে যেতে নিবন্ধন করেছেন ৫৫ হাজার ৯ জন।

ধর্ম মন্ত্রণালয় থেকে জেলাভিত্তিক হজযাত্রীর যে তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে সেখান থেকে এ তথ্য পাওয়া গেছে। ঢাকার পরে সবচেয়ে বেশি নিবন্ধন করেছে চট্টগ্রাম জেলা থেকে।

এবার যে ১০টি জেলা থেকে হজের জন্য সবচেয়ে বেশি নিবন্ধন হয়েছে সেগুলো হলো- ঢাকা (৫৫ হাজার ৯ জন), চট্টগ্রাম (১০ হাজার ৬২ জন), বগুড়া (৩ হাজার ৬৪২ জন), কুমিল্লা (৩ হাজার ১৪৯ জন),ময়মনসিংহ (২ হাজার ৮৬৬ জন), রংপুর (২ হাজার ৬৫০ জন), রাজশাহী (২ হাজার ৪২৭ জন), সিরাজগঞ্জ (২ হাজার ১৮১ জন), গাজীপুর (২ হাজার ৯৯ জন), নওগাঁ (২ হাজার ৪৮ জন), সিলেট (১ হাজার ৮৪১ জন)।
এছাড়া বরগুনায় ১০৩, বরিশালে ৬৭১, ভোলায় ৪৯৩, ঝালকাঠিতে ২০৮, পটুয়াখালীতে ৩৭৭, পিরোজপুরে ১০০, ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় এক হাজার ১৩৮, চাঁদপুরে ৫১১, কক্সবাজারে ১১২, ফেনীতে এক হাজার নয়, খাগড়াছড়িতে ১০, লক্ষ্মীপুরে ৪১২, নোয়াখালীতে এক হাজার ৩৩, রাঙ্গামাটিতে ১৩ জন, ফরিদপুরে ৩৭৫, গোপালগঞ্জে ১৩৪, কিশোরগঞ্জে এক হাজার ১০১, মাদারীপুরে ২৭২, মানিকগঞ্জে ১৫৮, মুন্সীগঞ্জে ৪২০, নারায়ণগঞ্জে এক হাজার ২৫৬, নরসিংদীতে এক হাজার ৯৭, রাজবাড়ীতে ১৫৫, শরীয়তপুরে ২৯৩, টাঙ্গাইলে এক হাজার ২৮৭, বাগেরহাটে ১৭২, চুয়াডাঙ্গায় ৩২৬, যশোরে এক হাজার ১৫, ঝিনাইদহে ৩২৬, খুলনায় এক হাজার ৬০৯, কুষ্টিয়ায় ৮৫১, মাগুরায় ২১১, মেহেরপুরে ১২৭, নড়াইলে ১৬৮, সাতক্ষীরায় এক হাজার ৫৫, জামালপুরে এক হাজার ৬৯, নেত্রকোনায় ৩০৪, শেরপুরে এক হাজার ১৫১ জন নিবন্ধিত হজযাত্রী রয়েছেন। এছাড়া চাঁপাইনবাবগঞ্জে এক হাজার ১৬৯, জয়পুরহাটে ৫৩০, নওগাঁয় ২ হাজার ৪৮, নাটোরে এক হাজার ৩৭২, পাবনায় এক হাজার ৫০০, দিনাজপুরে এক হাজার ৬৮৭, গাইবান্ধায় ৮২০, কুড়িগ্রামে ৭২৫, লালমনিরহাটে ১৯৬, নীলফামারীতে ৫৯২, পঞ্চগড়ে ৩২৫, ঠাকুরগাঁয়ে ৮৯২, হবিগঞ্জে ১৭১, মৌলভীবাজারে ২৮০, সুনামগঞ্জে ১২৯ জন হজে যেতে নিবন্ধিত হয়েছেন।

এবার হজযাত্রীদের সঙ্গে গাইড হিসেবে যাবেন ২ হাজার ৭১৫ জন। এরমধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় গাইড থাকবেন ২২৮ জন এবং বেসরকারিভাবে থাকবেন ২ হাজার ৪৮৭ জন। হজ যাত্রী ও গাইডসহ হয়েছে মোট ১ লাখ ২২ হাজার ২০১ জন। সে হিসেবে এখনও কোটায় ফাঁকা থাকছে ৪ হাজার ৯৯৭ জন। এই ফাঁকা কোটা সৌদি সরকারকে আনুষ্ঠানিকভাবে ফেরত দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরুও করেছে ধর্ম মন্ত্রণালয়।

চলতি বছর বাংলাদেশ থেকে ১ লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জনের হজে যাওয়ার জন্য সৌদির সঙ্গে চুক্তি ছিল। গত ৮ ফেব্রুয়ারি হজের নিবন্ধন শুরু হয়। এরপর আট দফা বাড়ানো হয় নিবন্ধনের সময়। শেষে নবম দফায় মঙ্গলবার (২৫ এপ্রিল) নিবন্ধনের বিশেষ সুযোগ দেওয়া হয়। এরপরও কোটা পূরণ হয়নি। কোটা পূরণ না হওয়ায় ৫ হাজার কোটা ফেরত যাচ্ছে।

চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী ২৭ জুন (৯ জিলহজ) পবিত্র হজ অনুষ্ঠিত হবে। এ বছর সরকারি ব্যবস্থাপনায় একটি হজ প্যাকেজ ঘোষণা করা হয়। এতে খরচ ধরা হয় ৬ লাখ ৮৩ হাজার ১৫ টাকা। বেসরকারিভাবে এজেন্সির মাধ্যমে হজ পালনে সর্বনিম্ন খরচ ধরা হয় ৬ লাখ ৭২ হাজার ৬১৮ টাকা। উভয় প্যাকেজের সঙ্গে যুক্ত হবে কোরবানির খরচ। যদিও পরে সরকারি এবং বেসরকারি দুই প্যাকেজেই ১১ হাজার টাকা করে কমানো হয়।

এদিকে আগামী ২১ মে বাংলাদেশ থেকে সৌদিগামী হজ ফ্লাইট শুরু হতে যাচ্ছে। বাংলাদেশ সময় রাত পৌনে ৪টায় চলতি হজ মৌসুমে হজযাত্রীদের প্রথম ফ্লাইট পরিচালনা শুরু হতে পারে।

আরও পড়ুন

এ সম্পর্কিত আরও

সর্বশেষ