২৯ অক্টোবর ২০২৫

হাজী ইকবাল কার !

বাংলাধারা প্রতিবেদন »

চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনের মেয়র পদের জন্য মঙ্গলবার দলীয় মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করছেন সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন। পরদিন আজ বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) মেয়র পদের জন্য দলীয় মনোনয়ন সংগ্রহ করেছেন সাবেক সিডিএ চেয়ারম্যান ও মহানগর আওয়ামীলীগের কোষাধ্যক্ষ আব্দুচ ছালাম। এই দু’দিনই দুই প্রার্থীর সাথে দেখা গেছে চট্টগ্রামের চাঞ্চল্যকর যুবলীগকর্মী মহিউদ্দিন হত্যা মামলার প্রধান আসামি ও বিতর্কিত আওয়ামী লীগ নেতা হাজী ইকবালকে। এ নিয়ে নগরজুড়ে আলোচনা-সমালোচনার ঝড় উঠেছে। লোকজনকে বলতে শোনা যায়, “ইকবাল তুমি কার !”

মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি) সকালে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার ধানমণ্ডির রাজনৈতিক কার্যালয় থেকে আবারো মেয়র পদের জন্য আ জ ম নাছির উদ্দিন দলীয় মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করার সময় হত্যা মামলার প্রধান আসামি ও বিতর্কিত আওয়ামী লীগ নেতা হাজী ইকবালকে দেখা যায়। ওইদিন বিতর্কিত আওয়ামী লীগ নেতা হাজী ইকবালকে সাথে নিয়ে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনের মেয়র পদের জন্য মনোনয়ন ফরম কিনতে যাওয়ার ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হওয়ার পর চট্টগ্রাম সিটিতে আলোচনা-সমালোচনার ঝড় উঠেছে। বিষয়টি ভালো চোখে দেখছেন না অনেকেই।

এদিকে আজ বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে ঢাকায় ধানমণ্ডিতে আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর দলীয় কার্যালয় থেকে দলীয় মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেন চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (সিডিএ) সাবেক চেয়ারম্যান ও নগর কমিটির কোষাধ্যক্ষ আবদুচ ছালাম। এ সময়ও সিডিএ’র সাবেক চেয়ারম্যানের সাথে হাজী ইকবালের উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায়।

গত সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) শুরু হয়েছে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের দলীয় মনোনয়নপত্র বিতরণ। এর আগে গত তিন দিনে মেয়র পদে আরও সাতজন এবং সাধারণ কাউন্সিলর ও সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর মিলে মোট ২৩৪ জন আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেছিলেন।

তাদের মধ্যে আছেন নগর কমিটির সাধারণ সম্পাদক বর্তমান মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন, নগর কমিটির সহ-সভাপতি খোরশেদ আলম সুজন, সহ-সভাপতি সাবেক মন্ত্রী নুরুল ইসলাম বিএসসি, সহ-সভাপতি আলতাফ হোসেন চৌধুরী বাচ্চু, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম চৌধুরী, মুক্তিযুদ্ধের বিজয় মেলা পরিষদের আহ্বায়ক মো. ইউনুস এবং সাবেক মন্ত্রী নুরুল ইসলাম বিএসসির ছেলে মুজিবুর রহমান।

১৫ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারি বাসভবন গণভবনে প্রার্থীদের সাক্ষাৎকার অনুষ্ঠিত হবে। পরে মনোনয়ন দেয়া হবে।

প্রসঙ্গত, ২০১৮ সারের ২৬ মার্চ নগরের সল্টগোলা ক্রসিংয়ের মেহের আফজাল উচ্চবিদ্যালয়ে সাবেক শিক্ষার্থীদের একটি সভা চলাকালীন প্রধান শিক্ষকের কক্ষে ঢুকে যুবলীগকর্মী মো. মহিউদ্দিনকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে নৃশংসভাবে খুন করা হয়। মহিউদ্দিন দক্ষিণ-মধ্যম হালিশহর ওয়ার্ড কাউন্সিলর গোলাম মোহাম্মদ কাদের এবং স্থানীয় ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি হাসান মুরাদ ও সাধারণ সম্পাদক মো. হাসানের ঘনিষ্ঠজন ছিলেন। তাদের বিরোধী পক্ষে ছিলেন আওয়ামী লীগ নেতা হাজী ইকবাল। যিনি ২০১৭ সালের ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবসকে কেন্দ্র করে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবে ‘হায় মুজিব হায় মুজিব’ মাতমে নিজের শরীর থেকে কথিত রক্ত ঝরানোর চেষ্টায় জিঞ্জির চাকু দিয়ে আঘাত করে শিয়াদের মতো মাতম করে আলোচনায় আসেন।

বাংলাধারা/এফএস/টিএম

আরও পড়ুন