৩ নভেম্বর ২০২৫

হাটহাজারী মাদ্রাসা পরিচালনার দায়িত্বে ৩ শিক্ষক

বাংলাধারা প্রতিবেদন »

এখন থেকে হাটহাজারীর আল-জামিয়াতুল আহলিয়া দারুল উলুম মুঈনুল ইসলাম মাদ্রাসার মুহতামিম পদে একজনের পরিবর্তে তিনজন দায়িত্ব পালন করবেন। মাদ্রাসা পরিচালনার জন্য মাদ্রাসার তিনজন সিনিয়র শিক্ষককে অন্তর্বতীকালীন দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

শনিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) আসরের নামাজের পর মাদ্রাসাটির সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী কর্তৃপক্ষ মজলিশে শুরার বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে হেফাজত ইসলামের মহাসচিব আল্লামা জুনাইদ বাবুনগরীকে মাদ্রাসার ‘প্রধান শায়খুল হাদিস’ হিসেবে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে।

মজলিশে শুরার বৈঠকে যৌথভাবে মাদ্রাসা পরিচালনায় দায়িত্ব পাওয়া তিন হলেন- মুফতী আবদুস সালাম, মাওলানা শেখ আহমদ এবং মাওলানা ইয়াহইয়া। শুরা বৈঠকের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, এই তিনজনের সকলেই সমান অধিকার ভোগ করবেন এবং কেউ এককভাবে কোন সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন না।

সভায় মজলিশে শুরা কমিটির ১১ সদস্যের মধ্যে ৮ জন উপস্থিত ছিলেন। সভা শেষে শুরা সদস্য মাওলানা নোমান ফয়েজী মজলিশে শুরার গৃহীত সিদ্ধান্ত পড়ে শোনান।

তিনি জানান, বড় হুজুরের (আল্লামা শাহ আহমদ শফী) ইন্তেকালের পর মাদ্রাসা পরিচালনার জন্য মুহতামিমের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে যৌথভাবে মুফতী আবদুস সালাম, আল্লামা শেখ আহমদ এবং মাওলানা ইয়াহিয়াকে। একইসঙ্গে হেফাজত ইসলামের মহাসচিব আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরীকে মাদ্রাসার শিক্ষা পরিচালক ও প্রধান শায়খুল হাদীস হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

এছাড়া মাওলানা হাফেজ শোয়াইবকে মাদ্রাসার সহকারী শিক্ষা পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি।

১৯৮৬ সাল থেকে দেশের সবচেয়ে পুরনো এবং বড় কওমি মাদ্রাসা হিসেবে পরিচিত হাটহাজারী মাদ্রাসার মুহতামিম পদে দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন আল্লামা শাহ আহমদ শফী।

গত বৃহস্পতিবার (১৭ সেপ্টেম্বর) একদল শিক্ষার্থীর আন্দোলনের মুখে সেই দায়িত্ব থেকে পদত্যাগ করেন তিনি।  এর মধ্যে অসুস্থ হয়ে পড়ায় ওইদিন মধ্যরাতে তাকে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। শুক্রবার (১৮ সেপ্টেম্বর) বিকেলে তাকে ঢাকার আসগর আলী হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সন্ধ্যায় আসগর আলী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মৃত্যুবরণ করেন।

বাংলাধারা/এফএস/এএ

আরও পড়ুন

এ সম্পর্কিত আরও

সর্বশেষ