নোয়াখালীর হাতিয়ার মেঘনা নদীতে ৩৯ জন যাত্রী নিয়ে একটি ট্রলার ডুবে যাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। স্থানীয় জেলেদের সহযোগিতায় দ্রুত উদ্ধার অভিযান চালিয়ে এখন পর্যন্ত ২০ জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে, তবে এখনো নিখোঁজ রয়েছেন ১৯ জন যাত্রী। ঘটনাস্থলে উদ্ধার তৎপরতা চলছে।
শনিবার (৩১ মে) বিকেল ৩টার দিকে ভাসানচর থেকে নোয়াখালীর উদ্দেশে যাওয়ার পথে ট্রলারটি ডুবে যায়।
জানা গেছে, দুপুর ২টার দিকে ভাসানচর থেকে চারজন পুলিশ সদস্য, রোহিঙ্গা রোগী, আনসার সদস্য ও বিভিন্ন এনজি সংস্থার লোকসহ ৩৯ জন যাত্রী নিয়ে একটি ট্রলার হরণী ইউনিয়নের আলী বাজার ঘাটের উদ্দেশ্যে যাত্রা করে। যাত্রাপথে ভাসানচর থেকে ৭/৮ কিলোমিটার দূরে গিয়ে করিমবাজার সংলগ্ন ডুবারচরের মেঘনা নদীতে বৈরী আবহাওয়ার কবলে পড়ে ট্রলারটি ডুবে যায়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ট্রলারটিতে ৩৯ জন যাত্রী ছিলেন। ঝোড়ো আবহাওয়া ও নদীতে উঁচু ঢেউয়ের কারণে ডুবোচরের সঙ্গে ধাক্কা লেগে ট্রলারটি ডুবে যায়। হাতিয়ার চানন্দী ইউনিয়নের স্থানীয় ৩টি বোটের সহায়তায় ২০ জন যাত্রীকে জীবিত উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। তবে এখনো ১৯ জন যাত্রী নিখোঁজ রয়েছেন। স্থানীয় জেলেরা দ্রুত উদ্ধার কাজে অংশ নিয়েছেন।
হাতিয়া থানার ওসি এ কে এম আজমল হুদা বলেন, ৩৯ জন যাত্রী নিয়ে ট্রলারটি ডুবে যায়। এর মধ্যে ২০ জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। দুই পুলিশ সদস্যসহ এখনও ১৯ জন যাত্রী নিখোঁজ রয়েছে। বর্তমানে কোস্টগার্ড নিখোঁজ যাত্রীদের উদ্ধারে কার্যক্রম চালাচ্ছে।