বাঁশখালী উপজেলার সাধনপুর ইউনিয়নের বাণীগ্রামে হাতির তাণ্ডবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে মন্দির ও কয়েকটি বাড়িঘর।
বুধবার রাতে বাণীগ্রামের সহদেব পাড়া এবং পশ্চিম পাড়ায় বন্যহাতির তান্ডবে ঘরবাড়ি ও মন্দিরের মালামাল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে।
জানা যায়, সাধনপুর ইউনিয়নে ৪নং ওয়ার্ড বাণীগ্রাম পশ্চিম পাড়ার একটি মন্দিরের দরজা, জানালা এবং রতন দে, মাধব চৌধুরী ও শ্রীধর দে সহ আরও কয়েকজনের ঘরবাড়িতে বন্যহাতির দল তাণ্ডব চালায়। এছাড়া ৫নং ওয়ার্ডের সহদেব পাড়ায় তালুকদার বাড়িতে দলছুট হাতি ঘুরে বেড়ালে আতঙ্কিত হয়ে পড়ে জনগণ।
সাধনপুর ইউনিয়ন পরিষদের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মোহাম্মদ দেলোয়ার হোসেন বলেন, বিগত কিছুদিন থেকে সাধনপুর পাহাড়ি এলাকায় হাতির পাল প্রায় সময় অবস্থান নেন। তাতে দলছুট হাতি লোকালয়ে এসে প্রায় সময় ফসলি জমি ক্ষেত খামার ও বাড়ি ঘরে এসে নানাভাবে তাণ্ডব চালিয়ে ক্ষতি করে।
সাধনপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কেএম সালাহ উদ্দিন কামাল বলেন, হাতির পাল প্রায় সময় এসে সাধনপুরের বিভিন্নস্থানে নানা ভাবে তাণ্ডব ও ক্ষতিসাধন করে। বুধবার রাতেও দলছুট হাতি বাণীগ্রাম এলাকায় এসে প্রায় ৭টি বাড়ি ও মন্দিরের জিনিসপত্র ভাঙচুর করে।
ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের সদস্য বিশ্বজিত চৌধুরী বলেন,প্রায় মধ্যরাতে হাতির পাল খাবারের অনুসন্ধানে আমাদের পাড়ায় ঢুকে পড়ে এবং একপর্যায়ে আমাদের ঘরের দেয়াল এবং মন্দিরের জানালা দরজা ভেঙ্গে ব্যপক ক্ষয়ক্ষতি সাধন করে।
লোকালয়ে হাতির আনাগোনা ও ক্ষতি করার ব্যাপারে জলদী অভয়ারন্য রেঞ্জ ও চাম্বল বনবিট কর্মকর্তা আনিসুজ্জামান শেখ বলেন, যারা হাতির হামলায় নানা ভাবে ক্ষতিগ্রস্থ তারা নিয়ম মেনে আবেদন করলে বনবিভাগ ও সরকারিভাবে সহযোগিতা পেয়ে থাকে। আর পাহাড়ে হাতির খাদ্য সংকট এবং পাহাড়ি এলাকায় জনবসতি ও চলাচল বৃদ্ধি পাওয়ায় হাতির পাল লোকালয়ে ছুটে আসে বলে তিনি জানান।
পাহাড়ে নির্বিচারে বৃক্ষনিধন এবং নিয়মবহির্ভূত আবাসস্থল নির্মিত হওয়ার ফলে হাতির খাবারের সংকট এবং বিচরণ ক্ষেত্র ক্রমান্বয়ে সংকুচিত হয়ে আসছে বলে এলাকার সাধারন জনগন মনে করেন।













