বাংলাধারা প্রতিবেদন »
হালদা পাড়ের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করতে এসে খাবার, খাবারের উচ্ছিষ্ট, প্লাস্টিকের বোতল, প্লাস্টিকের প্যাকেট এবং পলিথিন হালদায় ফেললে দূষিত হবে হালদা। নষ্ট হবে প্রাকৃতিক মৎস্য প্রজনন ক্ষেত্র। তাই হালদা রক্ষায় কিছু প্রয়োজনীয় সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে উপজেলা প্রশাসন।
হালদা নদীর দূষণ রোধে, পরিবেশ রক্ষার্থে নিম্নোক্ত পদক্ষেপগুলো গ্রহণ করা হয়:
১। হালদা পাড়ে ইউনিয়ন পরিষদের ছাড়পত্র ব্যতীত কোন ধরণের ভ্রাম্যমাণ খাবার দোকান বা টং দোকান স্থাপন করা যাবে না।
২। হালদা পাড়ে ইউনিয়ন পরিষদের ছাড়পত্র ধার্যকৃত খাজনা পরিশোধ পূর্বক সংশ্লিষ্ট চেয়ারম্যানের নির্দেশনা মোতাবেক দোকান স্থাপন করা যেতে পারে।
৩। দোকান স্থাপন বাবদ আদায়কৃত খাজনা দিয়ে ইউনিয়ন পরিষদ শুধুমাত্র নিম্নলিখিত কাজগুলো করতে পারবে।
ক) হালদা দূষণরোধে হালদা পাড়ে ডাস্টবিন বা ময়লার ঝুড়ি স্থাপন করা যাবে।
খ) পরিচ্ছন্ন কর্মী নিয়োগ করা যাবে।
গ) নিরাপত্তাকর্মী নিয়োগ করা যাবে।
ঘ) এ সংশ্লিষ্ট অন্যান্য সংস্থায় কাজ করা যাবে।
ঙ) হালদা দূষণরোধে উপজেলা প্রশাসনের অনুমতিক্রমে যেকোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করা যেতে পারে।
হাটহাজারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রুহুল আমিন বাংলাধারাকে জানান, হালদার বেড়িবাঁধ এলাকায় ভ্রাম্যমাণ খাবার দোকান, টং স্থাপন করা হয়েছে। এসব দোকানসমূহের বর্জ্য হালদা নদীতে ফেলার কারণে হালদা নদীর পরিবেশ ও মাছের প্রজনন ক্ষেত্র নষ্ট হচ্ছে। তাই হালদা রক্ষায় কিছু সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। এই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে সকলের সহযোগিতা প্রয়োজন। আপনাদের সকলের সহযোগিতায় হালদা দূষণমুক্ত থাকবে।
বাংলাধারা/এফএস/টিএম













