বাংলাধারা প্রতিবেদন »
চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (সিডিএ) প্রধান নগর পরিকল্পনাবিদ শাহিনুল ইসলাম খান জানিয়েছেন, নগরের এনায়েত বাজার গোয়ালপাড়ায় হেলে পড়া ভবনটি নির্মাণে অনুমোদন নেওয়া হয়নি।
তিনি বলেন, ঘটনাস্থল যেহেতু রেলওয়ে এলাকায় তাই ঐতিহ্যবাহী স্থাপনা বিবেচনায় এই এলাকায় সিডিএ ভবন নির্মাণের অনুমোদন দেয় না। তাছাড়া এক শতাংশেরও কম ছোট জায়গায় সিডিএ ভবন নির্মাণের অনুমতি দেয় না’।
রোববার (১১ এপ্রিল) সিডিএ’র প্রতিনিধি দল ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে তিনি এ কথা বলেন।
এর আগে ভবনের মালিক হেলে পড়া ভবনটি নির্মাণে সিডিএ’র অনুমোদন পাওয়ার কাগজপত্র সাংবাদিকদের দেখিয়েছেন।
ভবন মালিকের কাছে সিডিএ’র অনুমোদন পাওয়া কাগজপত্র রয়েছে এমনটা জানালে শাহিনুল ইসলাম খান সাংবাদিকদের বলেন, ‘তারা যেটি অনুমোদনের কাগজ দেখাচ্ছে সেটি ১৯৯৬ সালের পূর্বে। তবে ভবন দেখে মনে হয় না ততটা পুরোনো। যে আইনে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে দাবি করছে আইনটি অনেক আগেই বাতিল করা হয়েছে’।
অন্যদিকে ভবনের মালিক দীপ নারায়ণ ঘোষ সাংবাদিকদের বলেন, ‘সিডিএ কোনো কিছু যাচাই-বাছাই না করে গতানুগতিক কথা বলছে। আমাদের কাছে ভবনের নকশা এবং অনুমোদন সংক্রান্ত প্রমাণ রয়েছে। তারা না জেনে এমন মন্তব্য করছে’।
চট্টগ্রামে বহুতল ভবন নির্মাণের ক্ষেত্রে ভূমি ছাড়পত্র, নকশা অনুমোদনসহ যাবতীয় প্রক্রিয়া সর্বোচ্চ ৫৩ দিনের মধ্যে সম্পন্ন করার সিদ্ধান্ত নেয় সিডিএ। এসব প্রশাসনিক বিধি-বিধান আগে ১৩৫ দিনের মধ্যে শেষ করার জন্য সরকারের নির্দেশনা থাকলেও তা কয়েক বছর লেগে যেতো। সময় ও হয়রানি কমাতে এসব প্রক্রিয়া অনলাইনেই করার কাজ শুরু হলেও ভোগান্তি কমেনি।
এর আগে সিডিএ’র এক নির্বাহী প্রকৌশলী ও অথরাইজড অফিসারের বিরুদ্ধে ভবন নির্মাণে ঘুষ গ্রহণসহ বিভিন্ন দুর্নীতির অভিযোগ অনুসন্ধানে নেমে সত্যতা পায় দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
বাংলাধারা/এফএস/এআর













