২৯ অক্টোবর ২০২৫

১০ দিনের ছুটি শুরু, চলছে না গণপরিবহন

বাংলাধারা প্রতিবেদন »  

করোনা প্রতিরোধে জনগণকে বাসায় থাকা নিশ্চিত করতে আজ ২৬ মার্চ থেকে ৪ এপ্রিল পর্যন্ত দেশের সকল সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করেছে সরকার। তাই আজ থেকে শুরু হয়েছে ১০ দিনের সাধারণ ছুটি। সড়কজুড়ে মোতায়েন করা হয়েছে সেনাবাহিনী। তাই সড়ক জুড়ে মানুষের কম আনাগোনা লক্ষ্য করা যাচ্ছে। সেই সাথে নেই কোন গণপরিবহন।

সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের ঘোষণা অনুযায়ী করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলায় আজ থেকে সারাদেশে গণপরিবহন বন্ধ রয়েছে যা অব্যাহত থাকবে আগামী ৪ এপ্রিল পর্যন্ত।

গণপরিবহন না চলায় বৃহস্পতিবার (২৬ মার্চ) সকাল থেকে নগরীর সড়কগুলোতে দু-একটি প্রাইভেট গাড়ি ও মোটরসাইকেল ছাড়া কোনো গণপরিবহন চোখে পড়েনি। এমনকি মানুষ নেই বলে রিকশাও চলছে না রাস্তায়।

এদিকে করোনাভাইরাস সামলাতে বুধবার সকাল থেকে মাঠ পর্যায়ে কাজ শুরু করেছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী। সঙ্গে আছে পুলিশ ও র‍্যাব। তারা বিভিন্ন অলিতে-গলিতে টহল দিচ্ছে। কোন ধরনের গণজমায়েত দেখলেই তা ভেঙে দিচ্ছে। এমনকি ২ জন মানুষ এক সঙ্গে হাঁটা চলা করলেও তাদের আলাদা করে দিচ্ছে এবং বাসায় পাঠিয়ে দিচ্ছে। আর কেন বাসা থেকে বের হয়েছে সেই কারণও জিজ্ঞাসা করছে।

বাসার বাইরে বাজার করতে বের হয়েছেন কামাল হোসেন। তার সঙ্গে কথা বললে তিনি বাংলাধারাকে বলেন, বাসায় বাজার নেই তাই শাকসবজি সঙ্গে আরো কিছু কেনার জন্য বের হয়েছি। কিন্তু এসে দেখি সব দোকান পাট বন্ধ। অনেকদূর হেঁটে গিয়ে দেখি দুই একটা দোকান খোলা রয়েছে। সেখান থেকেই কিছু কেনাকাটা করলাম।

তিনি আরো বলেন, করোনাভাইরাস ঠেকাতে সরকার যে পদক্ষেপ নিয়েছে তা অত্যন্ত প্রশংসনীয়। মাঠে সেনাবাহিনী নামানোয় আমাদের মতো সাধারণ মানুষ একটু আসার আলো দেখতে পাচ্ছি। আমাদের আসলে নিজ নিজ উদ্যোগেই বাসায় থাকা উচিৎ। কিন্তু মাঝে মধ্যে বের হতে হচ্ছে খাবারের জন্য। কি করবো বলেন, কিছু খেয়েতো বেঁচে থাকতে হবে।

এদিকে নগরীর বাস কাউন্টারগুলোতে খবর নিয়ে জানা যায়, সকাল থেকেই কোন ধরনের দূরপাল্লার বাস ছেড়ে যায়নি। বাস কাউন্টারগুলো একদম ফাঁকা। সব বন্ধ করে কাউন্টার ম্যানেজার ও কর্মচারীরা নিজ নিজ বাসায় অবস্থান করছেন। পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত দূরপাল্লার কোনো বাস ছেড়ে যাবে না নগর থেকে।

বাংলাধারা/এফএস/টিএম

আরও পড়ুন