২৪ অক্টোবর ২০২৫

১০ সেপ্টেম্বর দুয়ার খুলছে চট্টগ্রাম জেলা শিল্পকলা একাডেমি

মরিয়ম জাহান মুন্নী»

পাঁচ মাস পর আবারও খুলছে জেলা শিল্পকলা একাডেমি। পহেলা সেপ্টেম্বর থেকে খোলার নিদের্শনা থাকলেও এখনো কোনো কর্মসূচির বুকিং নেই। ১০ সেপ্টেম্বর শুক্রবার থেকে নতুন নাট্যদল প্রসেনিয়াম’এর প্রথম প্রযোজনা নাটক ‘সারারাত্তির’ মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে খুলছে জেলা শিল্পকলা একাডেমি। তবে এরমধ্যেই শিল্পকলায় চলছে বিভিন্ন নাটকের রিহ্যার্সেল।

শিল্পকলা কতৃপক্ষ জানায়, এর মধ্যে সম্পন্ন হয়েছে শিল্পকলা খোলার সকল প্রস্তুতি। মঞ্চসজ্জা, আলোক সিস্টেম, সাউন্ড সিস্টেম ও যন্ত্রপাতি ঠিক আছে কি না সবকিছুই যাচাই করা হয়েছে। এখন শুধু পর্দা উঠার পালা।

বিশ্বে চলমান মহামারির কারণে প্রায় দুই বছর ধরেই বন্ধ রয়েছে সাংস্কৃতিক কর্মীদের প্রাণের এ অঙ্গন। প্রাণের অঙ্গনটি আবারও খোলার খবরে খুশি সাংস্কৃতিক কর্মীরা। মহামারি মোকাবেলায় অর্ধেক আসন খালি রেখেই খুলছে শিল্পকলা। এছাড়া মানা হচ্ছে করোনা মোকাবেলায় সবরকম নিয়ম-কানন।

পরিস্থিতি খারাপ হতে থাকলে দ্বিতীয় বারের মতো মার্চ মাসের ৩১ তারিখ থেকে বন্ধ হয় শিল্পকলা। তখন থেকেই অনলাইন মাধ্যমকে আঁকড়ে ধরেছে সাংস্কৃতিক প্রেমীরা। তবে এখানে নেই মনের কোনো তৃপ্তি। এমনটাই জানায় সংস্কৃতিক ব্যক্তিত্বরা। তাই খোলার খবরে খুশি সকল সংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব।

জেলা শিল্পকলা একাডেমির কালচারাল অফিসার মোসলেম উদ্দিন শিকদার বলেন, শিল্পকলা খুলছে ভাবতেই ভালো লাগছে। এ প্রাঙ্গণটি নবীন-প্রবীণ শিল্পী ও দর্শকদের পদচারণায় বেশ মুখোর থাকে। এটি দেখতেও ভালো লাগে। যেহেতু এখনো করোনা পরিস্থিতি বিরাজমান। তাই আমাদের কিছু নির্দেশনা রয়েছে যেগুলো মেনেই আমরা শিল্পকলার কার্যক্রম শুরু করছি। এরমধ্যে খোলার সবকাজ সম্পূর্ণ হয়েছে। ১ম দিন সম্পূর্ন নতুন একটি নাট্যদলের একটা নাটক দিয়ে আনুষ্ঠানিকতা শুরু হচ্ছে। এরপরে ১৬ সেপ্টেম্বর পারর্ফরসিং আর্টস, ১৭ অরিন্দম নাট্য সম্প্রদায়, ১৮ কথা সুন্দর নাট্যদলে নাটক ও ২৫ সেপ্টেম্বর তারুণ্যের উচ্ছ্বাসের আবৃত্তি অনুষ্ঠান রয়েছে।

প্রসেনিয়াম’এর নাট্যকর্মী মিশফাক রাসেল বলেন, প্রথমেই সুন্দর একটি নাটক দিয়ে প্রসেনিয়ামের পথচলা শুরু হচ্ছে। এছাড়া অনেকদিন পর শিল্পকলা খুলছে দেখেও ভালো লাগছে। ‘সারারাত্তির’ নাটকটি সাত বছরের একটি দম্পত্তির ছুটিযাপনের গল্প নিয়ে করা হয়েছে। গল্পে তারা ঘুরতে গিয়ে আটকা পড়ে একটি পোড়োবাড়িতে। সেখানে তাদের সাত বছরের দাম্পত্ত জীবনের অজানা কিছু অর্থ খুজে পায়। এমনি কিছু তথ্য নিয়ে নাটকটি করা হয়েছে। নাটকটি রচনা করেন বাদল সরকার ও নির্দেশনা করেন মোকাদ্দেম মোরশেদ।    

বাংলাধারা/এফএস/এফএস

আরও পড়ুন