সুমন পল্লব, হাটহাজারী প্রতিনিধি »
শ্রেণিকক্ষ সংকটের কারণে চট্টগ্রামের হাটহাজারী মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের পাঠদান ব্যাহত হচ্ছে। শত বছরের পুরনো বিদ্যালয়টিতে একটি দ্বিতল ও একটি একতলা বিশিষ্ট ভবন রয়েছে। এতে মোট ১২টি কক্ষ রয়েছে। যার মধ্যে একটি অফিস কক্ষ ও অন্যটিতে শিশু শ্রেণির পাঠদান করা হয়। বাকি ১০টি কক্ষে প্রথম থেকে পঞ্চম শ্রেণিতে পাঠদান করা হয়।
সরেজমিনে দেখা যায়, প্রতিটি কক্ষে সর্বোচ্চ ৩০-৪০ জনের ধারণ ক্ষমতা থাকলেও গাদাগাদি করে ৬০-৭০ জনের অধিক শিক্ষার্থী নিয়ে পাঠদান করানো হচ্ছে। শুধুই পঞ্চম শ্রেণিতেই ৩ শতাধিকের বেশি শিক্ষার্থী রয়েছে। তাই দুই শিফটে গাদাগাদি করে বসে পাঠদান ও পরীক্ষা নিতে হয়।
এছাড়াও মরার উপর খাঁড়ার ঘা হয়ে চেপে বসেছে উপজেলা রিসোর্স সেন্টার। ফলে ট্রেনিং সেন্টারটির জন্যও জায়গা সংকুলান আরও বেড়েছে।
বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক আরিফুল ইসলাম চৌধুরী জানান, বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের আন্তরিকতা ও মেধার কারণে শিক্ষার্থীর সংখ্যা বাড়ছে। পড়ালেখার মান ভাল হলেও অবকাঠামো উন্নয়ন তেমন হচ্ছে না। বিগত বছরগুলো জিপিএ ৫ প্রাপ্ত সংখ্যা বেশি এবং পাস শতভাগ। এছাড়াও সাংস্কৃতিক ও ক্রীড়া ক্ষেত্রে উপজেলার মধ্যে শ্রেষ্ঠ স্থান এবং জেলা ও বিভাগেও প্রতি বছর শ্রেষ্ঠত্ব অর্জন করে আসছে আমাদের বিদ্যালয়।
তিনি আরও জানান, বিদ্যালয়ের অবস্থান উপজেলা পরিষদের সম্মুখে হওয়ায় শিক্ষার্থীদের চাপ বেশি।গ্রীষ্মকালীন সময় গাদাগাদি করে বসার কারণে ভ্যাপসা পরিবেশ সৃষ্টি হয়। কোমলমতি শিক্ষার্থীদের অবস্থা নাজুক হয়ে পড়ে। অনেকে টিফিনের ছুটিতে বাড়িতে চলে গেলে ফিরতে চায় না।
বিদ্যালয়ের পরিচালনা পরিষদের সভাপতি মো. রাকিব জানান, শ্রেণিকক্ষ কম হওয়ার কারণে দুই শিফটে পাঠদান করাতে হয়। নতুন ভবন নির্মাণের জন্য আমরা কর্তৃপক্ষের নিকট জানিয়েছি।
তিনি আরও জানান, বিদ্যালয় থেকে উপজেলা রিসোর্স সেন্টারটি অনত্র সরিয়ে নিলে শিক্ষার পরিবেশ কিছুটা হলেও সৃষ্টি হবে।
উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা সাইদা আলম জানান, ছয় তলা বিশিষ্ট ভবন নির্মাণের পরিকল্পনা থাকলেও বর্তমানে নতুন ভবন নির্মাণে প্রস্তাবনা না থাকায় আপাতত স্থগিত রয়েছে।
উপজেলা রিসোর্স সেন্টার সরানো বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি জানান, প্রতিটি মডেল বিদ্যালয়ে ইউআরসি কার্যালয় বাধ্যতামূলক, তাই সরানোর কোনো সুযোগ নেই।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. শাহিদুল আলম জানান, এই বিষয়ে সংশ্লিষ্টদের সাথে কথা বলে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।













