২৬ অক্টোবর ২০২৫

১৪’শ শ্রমিকের ৪ মাসের বেতন না দিয়ে কারখানা বন্ধ, আগ্রাবাদে শ্রম ভবন ঘেরাও

বাংলাধারা প্রতিবেদক »

নগরীর আগ্রাবাদে বকেয়া বেতন, ওভারটাইম ও বোনাসের দাবিতে শ্রম ভবন ঘেরাও করে বিক্ষোভ করছেন পদ্মা ওয়্যারস লিমিটেড নামের একটি তৈরি পোশাক কারখানার শ্রমিকরা।

বৃহস্পতিবার (২৯ এপ্রিল) সকাল থেকে দাবি আদায়ে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন শ্রমিকরা। এ সময় তারা আগ্রবাদ সড়কও অবরোধ করেন।

জানা গেছে, নগরের ইপিজেড এলাকার পদ্মা ওয়্যারস লিমিটেড কোন প্রকার পূর্ব ঘোষণা ছাড়াই কারখানা বন্ধ করে দেয়ার ঘোষণা দেন।

কারখানাটিতে বর্তমানে কাজ করছেন ১৪’শ এর বেশি শ্রমিক। কারখানাটি দীর্ঘ চার মাস ধরে শ্রমিকদের কোন প্রকার নিয়মিত বেতন, ওভারটাইম পরিশোধ করেনি। এছাড়া আসন্ন ঈদকে সামনে রেখে ঈদের বোনাসের অপেক্ষায় আছেন শ্রমিকরা।

পূর্ব ঘোষণা ছাড়াই কারখানা বন্ধের ঘোষণায় আন্দোলনে নেমেছেন শ্রমিকরা। বেতন, বোনাসসহ বকেয়া টাকা আদায়ে শ্রম ভবন ঘেরাও করেন তার। এসময় মিছিল ও সড়ক অবরোধ করে দাবি আদায়ে আন্দোলন করেন শ্রমিকরা। ফলে সকাল থেকে আগ্রাবাদ এলাকায় তীব্র যানজটেরও সৃষ্টি হয়।

আগ্রাবাদে আন্দোলনকারীদের নাসির উদ্দিন এক পোশাক শ্রমিক বাংলাধারাকে বলেন, ‘আমি এই কারখানায় ১০ হাজার টাকা বেতনে কাজ করতাম। গত চার মাস ধরে আমাদেরকে নানা অজুহাত দেখিয়ে ঈদের আগে সব টাকা পরিশোধ করে দেয়ার কথা বলে মালিক পক্ষ। সেই ভরসায় আমরা কাজও চালিয়ে যাচ্ছিলাম। অথচ আজ সকালে কারখানায় গিয়ে দেখি তালা ঝুলানো। জিজ্ঞেস করতেই আমাদের বলা হল— আজ থেকে কারখানা বন্ধ। কারখানার কেউ আমাদের সাথে কথা বলছে না, যোগাযোগ করার সুযোগ দিচ্ছে না। আমাদেরকে কারখানা বন্ধ করে দেয়ার কথা আগে থেকেই বলা উচিত ছিল। বেতন-বোনাস, ওভারটাইম সব মিলিয়ে অনেক টাকা জমে গেছে। এখন কিভাবে ঈদ করব, সংসার চালাবো কিভাবে?’

আন্দোলনকারী আরেক শ্রমিক রফিক বলেন , করোনার কথা বলে মালিকপক্ষ আমাদের কয়েকমাস ধরে বেতন দিচ্ছে না। আমাদের বলা হয়েছিল ঈদের সময় বোনাসসহ পূর্বের সমস্ত বকেয়া বেতন পরিশোধ করা হবে। অথচ কাউকে কিছু না বলেই আজকে বিনা নোটিশে কারখানা বন্ধ করে দেওয়া হল। এখন আমরা কোথায় যাব , খাব কী ?

এদিকে শ্রমিকদের দাবি-দাওয়া নিয়ে শিল্প পুলিশের সহকারি পুলিশ সুপার (মিডিয়া) ফজলুল সেলিম বাংলাধারাকে বলেন, ‘নগরের ইপিজেডের পদ্মা ওয়্যারস লিমিটেড নামের একটি কারখানা শ্রমিকদের চার মাসের বেতন, ওভার টাইম, ঈদের বোনাস না দিয়ে কারখানা বন্ধ করে দেয়। যার কারণে শ্রমিকরা আন্দোলনে নেমেছে, নগরের আগ্রাবাদ এলাকায় শ্রম ভবন ঘেরাও করে রাখেছে। আমাদের টিম সেখানে আছে, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে। কারখানার ম্যানেজার বা মালিক পক্ষের সাথে যোগাযোগ করে বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা চলছে।’

বাংলাধারা/এফএস/এআই

আরও পড়ুন