জেলা প্রতিনিধি, কক্সবাজার »
দীর্ঘ ১৪ বছর পর অবেশেষে আলোর মুখ দেখেছে কক্সবাজার ইনস্টিটিউট ও পাবলিক লাইব্রেরী। রবিবার (২৮ আগস্ট) সন্ধ্যায় অনাড়ম্বরপূর্ণ অনুষ্ঠানে লাইব্রেরীর কাগজপত্র হস্তান্তরের মধ্য দিয়ে এর আনুষ্ঠানিক পথচলা শুরু হয়।
আগামী সেপ্টেম্বরের প্রথম সপ্তাহ থেকে লাইব্রেরীটি জনগণের জন্য উম্মুক্ত করে দেয়ার ঘোষণা দেন কক্সবাজার পাবলিক লাইব্রেরীর আহবায়ক কমিটি।
নবনির্মিত পাবলিক লাইব্রেরী শহীদ সুভাষ হলে জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোস্তাক আহমদ চৌধুরী আনুষ্ঠিকভাবে লাইব্রেরীর সকল কাগজপত্র লাইব্রেরীর আহবায়ক কমিটির প্রধান সদর উপজেলা নির্বাহি কর্মকর্তা মোহাম্মদ জাকারিয়া, কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের সহকারী সরকারী কৌশুলী (এপিপি) তাপস রক্ষিত ও সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ নজিবুল ইসলামের কাছে বুঝিয়ে দেন।
কক্সবাজার সদর উপজেলা নির্বাহি কর্মকর্তা মোহাম্মদ জাকারিয়া বলেন, প্রায় ১১ কোটি টাকা ব্যয়ে পাবলিক লাইব্রেরি ইনস্টিটিউটটি পুনঃনির্মাণ করা হয়েছে। লাইব্রেরীটি সেপ্টেম্বরের প্রথম সপ্তাহ থেকেই জনগণের জন্য উম্মুক্ত করে দেয়া হবে। আপাতত সাংস্কৃতিক কর্মীরা তাদের অনুশীলন করতে পারবেন।
পাবলিক লাইব্রেরির আহবায়ক কমিটির তথ্যমতে, ১৯০৫ সালে বিপীন বিহারী রক্ষিত এই পাবলিক লাইব্রেরীর জমি দান করেন। সেই থেকে এই পাবলিক লাইব্রেরী হয়ে উঠে কক্সবাজারের রাজনীতি, সাহিত্য-সাংস্কৃতির মুল স্থান। এই পাবলিক লাইব্রেরীর মাঠকে ঘিরেই কক্সবাজারের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস ঐতিহ্য আন্দোলন সংগ্রামের শুরু। এছাড়া স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনের প্রধান কেন্দ্রবিন্দু ছিল পাবলিক লাইব্রেরী। সর্বোপরি কক্সবাজারের রাজনীতিক, কবি, সাহিত্যিক, সাংবাদিক, লেখক, নাট্য ব্যক্তিত্ব ও সাংস্কৃতিক কর্মীদের পরিচিতি এবং বেড়ে উঠা এই মাঠ থেকে।
আরও জানা যায়, প্রতিষ্ঠার পর থেকে জরাজীর্ণ হয়ে যাওয়ায় ২০০৪ সালে তৎকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে কক্সবাজার ইনস্টিটিউট ও পাবলিক লাইব্রেরি আধুনিকায়ন করার উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়। উদ্বোধনের আরো ৪ বছর পর ২০০৮ সালে জেলা পরিষদ নির্মাণ কাজ শুরু করে পাবলিক লাইব্রেরীর। কয়েকবার নকশা পরিবর্তন, বাজেট ঘাটতি, ঠিকাদার পরিবর্তনসহ নানান জটিলতার কারণে নির্মান কাজ বিলম্বিত হয়। এরপর দীর্ঘ ১৪ বছর নানা জটিলতায় কেটে যায়। অবশেষে রবিবার আলোর মুখ দেখলো পাবলিক লাইব্রেরী।













