৮ ডিসেম্বর ২০২৫

২০০৮ সালের প্রস্তাবটি বোর্ডকে জানিয়েছিলেন সাকিব

বাংলাধারা প্রতিবেদন »

দুই বছর আগে জুয়াড়ির কাছ থেকে অনৈতিক প্রস্তাব পেয়েছিলেন সাকিব আল হাসান। কিন্তু সেই প্রস্তাবের কথা ‘গোপন’ করেন তিনি। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড কিংবা আইসিসির দুর্নীতি দমন কতৃপক্ষকে বিষয়টি জানাননি সাকিব। জুয়াড়ির সঙ্গে তার যোগাযোগ এবং প্রস্তাব গোপন করার বিষয়ে তদন্ত করে সত্যতা পেয়েছে আইসিসি। ক্রিকেটের সবোর্চ্চ সংস্থা তাই সাকিবকে ১৮ মাসের নিষেধাজ্ঞা দিতে পারে। তবে সাকিব এই প্রথম নয় আগেও অনৈতিক প্রস্তাব পেয়েছেন। সেবার বোর্ড এবং আইসিসি কতৃপক্ষকে বিষয়টি জানান তিনি।

ঘটনাটা ২০০৮ সালের। আন্তর্জাতিক অঙ্গনে তখনও সাকিব ‘নতুন’। তবে ২০০৭ বিশ্বকাপে দারুণ ক্রিকেট খেলে তারকা হওয়ার ইঙ্গিত দিয়েছেন। বিশ্বকাপের পর ২০০৮ সালে ঘরের মাঠে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ খেলে বাংলাদেশ। ওই সিরিজে ৩-০ ব্যবধানে জয় পায় টাইগাররা। সাকিব ওই সিরিজে জুয়াড়ির অনৈতিক প্রস্তাব পেয়েছিলেন। বিষয়টি তখনই কতৃপক্ষকে অবহিত করেন তিনি।

২০১০ সালের মে মাসে লর্ডস টেস্টের আগে সাকিব সেই ঘটনা নিয়ে বলেন, ‘অনেক দিন আগে। সম্ভবত দুই-আড়াই বছর হবে, ঘরের মাঠে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজে আমাকে খারাপ খেলার বিনিময়ে স্পন্সর পাইয়ে দেওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। তার সঙ্গে আমার খুব বেশি কথা হয়নি। তাকে বলেছিলাম, আমাদের টিম মিটিং আছে। আমাকে যেতে হবে। আপনার সঙ্গে পরে কথা হবে। পরেই আমি বোর্ডকে এবং আইসিসির দায়িত্বরত কর্মকর্তাকে বিষয়টি জানায়। তারা পদক্ষেপ নেওয়ায়, আমাকে আর কখনও ফোন করেননি ওই ব্যক্তি।’

সাকিবের এই বক্তব্যের প্রেক্ষিতে ২০১০ সালে ক্রীড়া বিষয়ক সংবাদ মাধ্যম ইএসপিএনে প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়। সাকিবের বক্তব্য ধরে ইংরেজি সংবাদ মাধ্যম দ্য টেলিগ্রাফে শিরোনাম হয়। সাকিবকে অনৈতিক প্রস্তাব দেওয়ার কথা তুলে ধরা হয়। ক্রিকেটারদের জুয়াড়ির প্রস্তাব এবং করণীয় সম্পর্কে সে সময় লর্ড কনডন বলেন, ‘জুয়াড়িরা কিভাবে খেলোয়াড়তের প্রভাবিত করে। কিভাবে তাদের ব্যাপারে সতর্কতা অবলম্বন করতে হয়, অভিযোগ দিতে হয় এ নিয়ে তাদের একটি শিক্ষা কার্যক্রম চালু আছে।’

সাকিব ২০১০ সালের সেই জুয়াড়ির প্রস্তাব নিয়ে আরও একটি মন্তব্য করেছিলেন, ‘আমি তার প্রস্তাব মাথায়ই আনিনি। আমি শুধু ভেবেছি, অর্থ-কড়ি নিয়ে আমি চিন্তাই করবো না। আমি দেশের জন্য খেলতে চাই। এটা আমার জন্য অনেক বড় সম্মানের-গর্বের। আমি ভালো খেলে যেতে চাই। আমার পরিবার মনে করে, জীবিকা নির্বাহের মতো যথেষ্ঠ সাবলম্বী তারা। অর্থ নিয়ে আমি তাই চিন্তিত নয়। দশ বছর দেশের হয়ে খেললে অর্থ এমনিতেই আসবে।’

বাংলাধারা/এফএস/টিএম     

আরও পড়ুন

এ সম্পর্কিত আরও

সর্বশেষ