চট্টগ্রামের শীর্ষ সন্ত্রাসী, মাদক সম্রাট এবং বুইস্যা বাহিনীর প্রধান শহীদুল ইসলাম বুইস্যাকে অস্ত্র ও গুলিসহ গ্রেফতার করেছে র্যাব-৭। গ্রেপ্তার বুইস্যা ভোলা জেলার দৌলতখান এলাকার মোহাম্মদ আলীর ছেলে।
শনিবার (২০ ডিসেম্বর) রাত পৌনে ১০টায় চান্দগাঁও থানাধীন ফিনলে সাউথ সিটি এলাকার দিগন্ত খাজা টাওয়ার থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
র্যাব জানায়, গত ২১ জুলাই চান্দগাঁও থানাধীন কাঁচাবাজার এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুটি সন্ত্রাসী গ্রুপ ‘টেম্পো’ এবং ‘বুইস্যা’ বাহিনীর মধ্যে গোলাগুলি হয়। এসময় র্যাব অভিযান চালিয়ে বুইস্যা গ্রুপের ১১ সদস্যকে বিপুল পরিমাণ আগ্নেয়াস্ত্র-গোলাবারুদ ও থানা থেকে লুট হওয়া অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার করে। তবে ঘটনাস্থল থেকে বুইস্যা পালিয়ে যায়।
এরপর গত ৪ অক্টোবর বুইস্যার অন্যতম সহযোগী মুন্না পাঁচলাইশ থানাধীন বাদুরতলা এলাকায় একটি গ্যারেজের সামনে চাঁদার দাবিতে প্রকাশ্যে গুলি ছোড়ার ছবি ও ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে ব্যাপক আলেচিত হয়। এসব ঘটনার পর র্যাব গোয়েন্দা নজরদারি শুরু করে।
র্যাব-৭ এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) এ. আর.এম. মোজাফ্ফর হোসেন জানানগতকাল রাতে চান্দগাঁওয়ের ফিনলে সাউথ সিটি এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে শীর্ষ সন্ত্রাসী ও মাদক সম্রাট শহিদুল ইসলাম প্রকাশ বুইস্যাকে গ্রেপ্তার করা হয়। এসময় তার কাছ থেকে একটি পিস্তল ও ৯ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়েছে।
তিনি আরও জানান, সন্ত্রাসী শহিদুল ইসলাম প্রকাশ বুইস্যা বাড়ি ভোলায়। বর্তমানে সে পাঁচলাইশ থানধীন পশ্চিম ষোলশহর এলাকা বসবাস করে। চান্দগাঁও এলাকায় বুইস্যা এবং টেম্পু গ্রুপের সদস্যরা অধিকাংশ সময় আধিপত্য নিয়ে প্রকাশ্যে গোলাগুলি, চাঁদাবাজি, ছিনতাই, মাদক কারবারিসহ বিভিন্ন অপরাধে লিপ্ত তাকে এবং কথায় কথায় গুলি ছোড়াছুড়ি করে। এই দুটি গ্রুপের প্রধান হলো সন্ত্রাসী শহিদুল ইসলাম বুইস্যা ও ইসমাইল হোসেন টেম্পু। চান্দগাঁও-পাঁচলাইশ এলাকার মানুষের কাছে আতঙ্কের নাম এই গ্রুপের সদস্যরা। গত ২০ ডিসেম্বর যৌথ বাহিনী ইসমাইল হোসেন টেম্পুকে গ্রেপ্তার করে।
গ্রেফতারকৃত পুলিশের তালিকাভুক্ত শীর্ষ সন্ত্রাসী বুইস্যা চট্টগ্রাম মহানগরীর চান্দগাঁও এবং পাঁচলাইশ এলাকায় অস্ত্র ব্যবসা, ইয়াবা ও মাদক কারবারসহ কিশোর গ্যাং দ্বারা অধিপত্য বিস্তার করে চাঁদাবাজি করে আসছিলো। গ্রেফতারকৃত আসামি শহিদুল ইসলাম প্রকাশ বুইস্যার বিরুদ্ধে চট্টগ্রাম মহানগরীর চাঁন্দগাও, পাঁচলাইশ এবং চকবাজার থানায় অস্ত্র, চাঁদাবাজি, নাশকতা এবং মাদকের ৪২টি মামলা রয়েছে।













