বোয়ালখালী প্রতিনিধি »
চট্টগ্রামের বোয়ালখালী উপজেলার জ্যৈষ্টপুরা গ্রামের ৯ মুক্তিযোদ্ধা স্বাধীনতা সংগ্রামে ঝাঁপিয়ে পড়া জাতির সূর্য্য সন্তানেরা দীর্ঘ ৫০ বছর ধরে অপেক্ষায় রয়েছেন রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতির। ইতিমধ্যে ৫ মুক্তিযোদ্ধা মৃত্যুবরণ করেছেন স্বীকৃতি না পাওয়ার আক্ষেপ নিয়ে। মৃত্যুবরণকারী বীর মুক্তিযোদ্ধা পরিবার তাদের স্বীকৃতির জন্য সংশ্লিষ্ট দফতরের দ্বারে দ্বারে ধর্ণা দিচ্ছে।
জানা গেছে, মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আহবানে চট্টগ্রামের বোয়ালখালী উপজেলার জ্যৈষ্টপুরা গ্রামের আবু নাছের মোহাম্মদ মুছা ছিদ্দিকী, মো. আমিনুল হক, মৃত মো. আব্দুস সালাম, মৃত মো. ওমর ফারুক, জালাল আহমদ, মো. মফিজুল হক, মৃত আলী আহমদ, মৃত মো. ইছহাক ও মৃত আবুল কালাম ভারতের বগা পা ক্যাম্পে প্রশিক্ষণ গ্রহণ করে দেশের যুদ্ধে অংশ নেন। দেশ স্বাধীনের পর নিজ নিজ জীবিকা নির্বাহের জন্য বিভিন্ন কাজে ব্যস্থ হয়ে পড়েন। কয়েকজন বিদেশেও পাড়ি জমান। বর্তমান সরকার মুক্তিযোদ্ধাদের মূল্যায়ন করলে মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের পরিবার প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট সংগ্রহ করে আবেদন করেন। আবেদনের পর মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের পরিবার দফতরে দফতরে ধর্ণা দিতে দিতে রাস্ট্রীয় স্বীকৃতি না পাওয়ার আক্ষেপ নিয়ে এরি মধ্যে ৫ বীর মুক্তিযোদ্ধা পরপাড়ে পাড়ি জমান।
মুুক্তিযোদ্ধা ও তাদের পরিবারের কাছে রয়েছে বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর অধিনায়ক জেনারেল মুহাম্মদ আতাউল গনী ওসমানী কর্তৃক দেয়া স্বাধীনতা সংগ্রামের সনদ পত্র, যুদ্ধকালীন গ্রুপ কমান্ডার মাহাবুবুল আলম চৌধুরী, যুদ্ধকালীন কোম্পানী কমান্ডার মো. আবুল বশর, উপজেলা কমান্ডার মো. হারুন মিয়া, যুদ্ধকালীন সহকারী ইউনিট কমান্ডার মো. আজিম উদ্দীন, যুদ্ধকালীন ইউনিয়ন সেকশন কমান্ডার প্রশান্ত বড়ুয়া ও কামাল উদ্দীন, শ্রীপুর-খরনদ্বীপ ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মোকারম, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা ইউনিট কমান্ডার মোহাম্মদ ইদ্রিস, মুক্তি বাহিনীর কমান্ডার আবুল হোসেন এর প্রত্যয়নপত্র ও বিভিন্ন দফতরে দেয়া আবেদন পত্র।
এ ব্যাপারে বীর মুক্তিযোদ্ধা আমিনুল হক বলেন, জীবন সায়াহ্নে হলেও রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি দেখে যেতে চাই। দেশের জন্য যুদ্ধ করেছিলাম নিঃস্বার্থভাবে। যুদ্ধকালীন গ্রুপ কমান্ডার ও সাথী মুক্তিযোদ্ধারা আমাদের আবেদনপত্রে স্বাক্ষর করেছেন। অথচ আমাদের নাম মুক্তিযোদ্ধা তালিকায় আসেনি।
উপজেলার প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধাদের নাম অন্তর্ভূক্তির আপ্রাণ চেষ্ঠা চালিয়ে যাচ্ছেন জানিয়ে উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার মো. আবুল বশর বলেন, আমলাতান্ত্রিক জটিলতার কারণে এবার অনেক মুক্তিযোদ্ধাদের নাম তালিকায় আসে নাই। প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধারা যেন বঞ্চিত না হয়ে তালিকায় আসে, সেব্যাপারে চেষ্টা করে যাচ্ছি।
বাংলাধারা/এফএস/এআর













