৭ নভেম্বর ২০২৫

৫ লাখে চুক্তি—‘প্রক্সি’ দিয়ে লিখিত পরীক্ষায় পাশ, মৌখিকে ধরা

বাংলাধারা প্রতিবেদক»

লিখিত পরীক্ষায় অংশ নেন ‘প্রক্সি’ দিয়ে। কিন্তু মৌখিকে অংশ নেন নিজেই। ভাইবা বোর্ডে হাতের লেখা মিলাতে গিয়ে দেখা যায় লিখিত পরীক্ষার লেখার সঙ্গে মিল নেই তার লেখার। আসল পরীক্ষার্থীর বদলে লিখিত পরীক্ষায় অংশ নেয় আরেকজন।—এমন জালিয়াতির ঘটনা ঘটেছে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের রাজস্বখাতভুক্ত সহকারী শিক্ষক নিয়োগ ২০২০’র লিখিত পরীক্ষায়।

সোমবার (২৫ জুলাই) চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন কার্যালয়ে ‘সহকারী শিক্ষক নিয়োগ-২০২০’র মৌখিক পরীক্ষার সময় ওই শিক্ষার্থীকে আটক করা হয়।

আটক শিক্ষার্থীর নাম মো. মুজিবুর রহমান। তিনি সাতকানিয়া উপজেলার জনার কেওচিয়া গ্রামের ফজলুল কবিরের পুত্র।

জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, আটক পরীক্ষার্থীর হয়ে লিখিত পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিলেন অন্য পরীক্ষার্থী। তবে আজ অনুষ্ঠিত মৌখিক পরীক্ষায় মূল পরীক্ষার্থী নিজেই অংশ নেন। ভাইভা বোর্ডে তার হাতের লেখা মিলিয়ে দেখার সময় তার লেখার সাথে পরীক্ষার সময় লেখার মিল না থাকায় সন্দেহ হয়।
এরপর জিজ্ঞাসাবাদে তিনি প্রক্সির কথা স্বীকার করেন।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) জনাব আবু রায়হান দোলন। তিনি বলেন, ‘গত ২২ এপ্রিল মানিক নামে তার এক বন্ধুর মাধ্যমে ৫ লাখ টাকার চুক্তির বিনিময়ে ‘প্রক্সি’ দিয়ে তিনি পাশ করেন। আজ মৌখিক পরীক্ষায় তিনি নিজেই অংশ নেন। এরপর তার লেখা যাচাই-বাছাই করতে গেলে মিল পাওয়া যায়নি। পরে জিজ্ঞাসাবাদে সে সব স্বীকার করে।’

তিনি বলেন, ‘কোতোয়ালী থানা পুলিশের কাছে সোপর্দ করা হয়। এ অভিযোগে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস বাদী হয়ে একটি নিয়মিত মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে।’

উল্লেখ্য, এর আগে গত ১ জুন জেলা প্রশাসনের রাজস্ব শাখার অফিস সহায়ক পদে লিখিত পরীক্ষায় প্রক্সি দিয়ে পাশ করা ১৫ জন পরীক্ষার্থীকে মৌখিক পরীক্ষায় আটক করে সাজা দেয় চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন।

বাংলাধারা/আরএইচআর

আরও পড়ুন

এ সম্পর্কিত আরও

সর্বশেষ