কক্সবাজার প্রতিনিধি»
মেরিন ড্রাইভের শামলাপুর চেকপোষ্টে পুলিশের গুলিতে মেজর (অব.) সিনহা মো. রাশেদ খান হত্যা মামলার নির্ধারিত ষষ্ঠ ধাপের প্রথম দিনের আরও ৮জনের সাক্ষ্যগ্রহণ ও জেরা সম্পন্ন হয়েছে। সোমবার (২৫ অক্টোবর) সকাল সোয়া ১০টার দিকে কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালতে নিহত সিনহার সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরী করা এসআই আমিনুল ইসলামের জবানবন্দি গ্রহণের মধ্যদিয়ে ৬ষ্ঠ দফার বিচারিক কাজ শুরু হয়। বিকেল সাড়ে ৫টায় পর্যন্ত চলে আদালতের কার্যক্রম। ৩৬তম সাক্ষীর পর একে এক ৮জনের জবানবন্দি গ্রহণ করে আদালত। পরে তাদেরকে জেরা করেন আসামী পক্ষের আইনজীবীরা। এর আগে সকাল পৌনে ১০টার দিকে ওসি প্রদীপ কুমারসহ ১৫ আসামিকে আদালতে আনা হয়।
কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালতে পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) ফরিদুল আলম বলেন, এ মামলায় ৫ম দফে ৩৫ সাক্ষী তাদের জবানবন্দি দিয়েছিলেন। ৬ষ্ঠ দফের প্রথম দিনে আমরা ১৮ সাক্ষীকে উপস্থাপন করলেও সেখান থেকে ৮ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ ও জেরা সম্পন্ন করা সম্ভব হয়েছে। সাক্ষ্যগ্রহণ চলবে আগামী বুধবার পর্যন্ত।
তিনি আরও বলেন, আলোচিত এ মামলায় এ পর্যন্ত ৪৩জনের সাক্ষ্যগ্রহণ ও জেরা সম্পন্ন হয়েছে। মামলায় মোট ৮৩ জনকে সাক্ষী করা হয়েছে।
এর আগে, এক থেকে পঞ্চম ধাপে এসে ছয় সেনা কর্মকর্তা, পুলিশ সদস্যসহ ৩৫ জন তাদের জবানবন্দি দেন। তাদের জেরাও করে ১৫ আসামির আইনজীবীরা।
গত ২৮-২৯ সেপ্টেম্বর চতুর্থ দফায় ছেনুয়ারা বেগম, আলী আহমদ, হাম জালাল, ফরিদুল মোস্তফা, সালেহ আহমদ ও বেবি বেগমসহ ২০ সাক্ষী তাদের জবানবন্দি দেন।
তৃতীয় ধাপের প্রথম দিন সাক্ষ্য দেন আব্দুল হামিদ, মোহাম্মদ ফিরোজ ও শওকত আলী নামে তিনজন। দ্বিতীয় দিন সাক্ষ্য দেন মারিশবনিয়া মসজিদের ইমাম হাফেজ জহিরুল ইসলাম ও ডা. রণবীর দেবনাথ। তাদের ১৫ আসামির আইনজীবী জেরা করে।
এর আগে দ্বিতীয় ধাপের চার দিনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয় গত ৮ সেপ্টেম্বর। দ্বিতীয় ধাপের চতুর্থ দিনে সাক্ষ্য দেন ৬ নম্বর সাক্ষী শামলাপুর বায়তুর নুর জামে মসজিদের ইমাম হাফেজ মাওলানা শহিদুল ইসলাম।
৩১ জুলাই রাতে টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ সড়কের শামলাপুর তল্লাশি চৌকিতে মেজর সিনহা নিহত হন। এ ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে তিনটি (টেকনাফে দুটি, রামুতে একটি) মামলা করে।
ঘটনার পর গত ৫ আগস্ট কক্সবাজার আদালতে প্রদীপ কুমার দাশ, লিয়াকত আলীসহ ৯ পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করেন মেজর সিনহার বড় বোন শারমিন শাহরিয়া ফেরদৌস।
বাংলাধারা/এফএস/এফএস












