২৪ অক্টোবর ২০২৫

৯১ বন্যার ৩৪ বছর পরেও আনোয়ারায় অরিক্ষত বেড়িবাঁধ

আজ ভয়াল ২৯ এপ্রিল। ১৯৯১ সালের এইদিনে ঘূর্ণিঝড় ও জলোচ্ছ্বাসে চট্টগ্রামের বাঁশখালী, আনোয়ারা, সীতাকুণ্ড, মিরসরাই, সন্দ্বীপসহ উপকূলীয় এলাকা ক্ষতিগ্রস্ত হয়।ঘূর্ণিঝড়ে দেশে প্রায় ১ লাখ ৩৮ হাজার মানুষ প্রায় হারিয়েছেন এবং প্রায় ১ কোটি মানুষ তাদের সর্বস্ব হারিয়েছেন।

উপকূলীয় অঞ্চলের বাসিন্দারা এখনো ঘূর্ণিঝড় বা জলোচ্ছ্বাসের খবর শুনলে এখনও নির্ঘুম রাত পার করেন।সেই দিনে ভয়াবহ ঘূর্ণিঝড় লন্ডভন্ড করে দিয়েছিল কক্সবাজার, মহেশখালী, চকরিয়া, বাঁশখালী, আনোয়ারা, সন্দ্বীপ, হাতিয়া,সীতাকুণ্ড পতেঙ্গাসহ দেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলীয় উপকূলীয় এলাকা।

বাতাসের সর্বোচ্চ গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় প্রায় ২৫০ কিমি (১৫৫ মাইল/ঘণ্টা) এবং তার সাথে ৬ মিটার (২০ ফুট) উঁচু জলোচ্ছ্বাস।এই ঝড়ে মৃত্যুবরণ করেন ১ লাখ ৩৮ হাজার ৮৮২ জন মানুষ এবং তার চেয়েও বেশি মানুষ আহত হয়। আশ্রয়হীন হয়েছিল কোটি মানুষ। ক্ষয়ক্ষতির বিচারে এই ঘূর্ণিঝড় বিশ্বের মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ ঘূর্ণিঝড় হিসেবে পরিচিত।

মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে বঙ্গোপসাগরে গভীর নিম্নচাপের সৃষ্টি হয়েছিল ২২শে এপ্রিল থেকেই।২৪ এপ্রিল নিম্নচাপটি ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নেয় এবং ধীরে ধীরে শক্তিশালী হতে থাকে; ২৮ ও ২৯ এপ্রিল তীব্রতা বৃদ্ধি পেয়ে রাতে আঘাত হানে এবং এর গতিবেগ পৌঁছায় ঘণ্টায় ১৬০ মাইলে।

আর সেই রাতে বাংলাদেশের দক্ষিণ-পূর্বে অবস্থিত কক্সবাজার-চট্টগ্রাম উপকূলে আঘাত হানা ওই ঘূর্ণিঝড়ে বাতাসের সর্বোচ্চ গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় প্রায় ২৪০ থেকে ২৫০ কিলোমিটার এবং এ কারণে সৃষ্ট ৬ মিটার বা ২০ ফুট উঁচু জলোচ্ছ্বাসে সরকারি হিসাবে মৃতের সংখ্যা ১ লাখ ৩৮ হাজার ২৪২ জন।তবে বেসরকারি হিসাবে এর সংখ্যা আরও বেশি। ওই ঘূর্ণিঝড়ে মারা যায় প্রায় ২০ লাখ গবাদিপশু।

প্রলয়ংকরী এই তাণ্ডবের ৩৪ বছর পরও আনোয়ারার বেশ কিছু অংশে এখনো অরক্ষিত বেড়িবাঁধ
সরেজমিনে গেলে দেখা যায়, উপজেলার পারকি এবং পরুয়াপাড়ার একাংশে বেড়িবাঁধে ব্লক দেওয়া হইনি। রায়পুরের কয়েকটি ওয়ার্ডে এখনো অনেক স্থানে স্থায়ী বেড়িবাঁধ হয়নি। বিশেষ করে বাইঘ্যার বাড়ি, গলাকাটার ঘাট অংশে ব্লক দেওয়া হয়েছে।ছত্তার মাঝির ঘাট ও পারুয়াপাড়া এলাকায় বেড়িবাঁধ এর সাপোর্ট ব্লক দেওয়া হয়েছে সেগুলো দাবিয়ে যাওয়ার কারণে জোয়ারের পানি বেড়িবাঁধ ছুই ছুই অবস্থা । উপজেলার দক্ষিণ গহিরা এলাকা পুরোটাই বেড়িবাঁধের আওতায় আসলেও উঠান মাঝির বাড়ি জামে মসজিদ এবং কবরস্থানসহ সবকিছু এখন বিলিন হওয়ার পথে।

এআরই/এমএম/বাংলাধারা

আরও পড়ুন