চট্টগ্রামে নতুন স্থাপিত তৈরী পোশাক শিল্প মালিকদের সংবর্ধনা প্রদান
চট্টগ্রামে বিগত দুই বছরে নতুন স্থাপিত ৫২টি পোশাক শিল্প প্রতিষ্ঠানের মালিকদেরকে সংবর্ধনা প্রদান করা হয়েছে। বুধবার ১৮ অক্টোবর সন্ধ্যায় খুলশীস্থ বিজিএমইএ ভবনের সম্মেলন কক্ষে এ সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করে বিজিএমইএ।
বিজিএমইএ’র প্রথম সহ-সভাপতি সৈয়দ নজরুল ইসলামের সভাপতিত্বে বিজিএমইএ’র সদস্য নতুন ৫২টি তৈরী পোশাক শিল্পের মালিকগণকে বিজিএমইএ কর্তৃক ক্রেষ্ট প্রদান পূর্বক সম্মানিত করা হয়।
সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, বিজিএমইএ’র সহ-সভাপতি রাকিবুল আলম চৌধুরী, পরিচালক আবদুল্লাহ হিল রাকিব, শফিউল করিম (খোকন), মোঃ হাসান (জ্যাকি), এম. এহসানুল হক, প্রাক্তন প্রথম সহ-সভাপতি সর্বজনাব এরশাদ উল্লাহ, এস.এম. আবু তৈয়ব, প্রাক্তন পরিচালক এস.এম. সাজেদুল ইসলাম, আ.ন.ম. সাইফুদ্দিন, এমদাদুল হক চৌধুরী, মোহাম্মদ মুসা, সৈয়দ মোহাম্মদ তানভীর, অঞ্জন শেখর দাশ, আমজাদ হোসেন চৌধুরী, খন্দকার বেলায়েত হোসেন, এনামুল আজিজ চৌধুরী সহ পোশাক শিল্পের বিপুল সংখ্যক মালিক এবং নতুন প্রতিষ্ঠান সমূহের মালিকগণ উপস্থিত ছিলেন।
বিজিএমইএ’র প্রথম সহ-সভাপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম- কোভিড পরবর্তীতে সাহসের সাথে পোশাক শিল্পে বিনিয়োগে এগিয়ে আসার জন্য চট্টগ্রামে নতুন স্থাপিত পোশাক শিল্পের মালিকদের স্বাগত জানিয়ে বলেন- পোশাক শিল্প বাংলাদেশের অর্থনীতি ও কর্মসংস্থানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। চট্টগ্রাম থেকে এই শিল্পের যাত্রা শুরু হলেও বিভিন্ন অবকাঠামোগত সমস্যার কারণে আমরা পিছিয়ে পড়েছি। চট্টগ্রামে নতুন উদ্যোক্তা সৃষ্টির মাধ্যমে শিল্প কারখানা স্থাপন, কাস্টমস্্, বন্ড, বন্দর ও ব্যাংক সহ সংশ্লিস্ট কার্যক্রমে বিদ্যমান জটিলতা নিরসন পূর্বক ব্যবসা-বাণিজ্যে অনুকূল পরিবেশ সৃষ্টিতে বিজিএমইএ সচেষ্ঠ রয়েছে।
তিনি আরো বলেন- সরকার কর্তৃক ইতিমধ্যে কর্ণফুলী টানেল, বে-টার্মিনাল, মাতারবাড়ী গভীর সমুদ্র বন্দর, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে, মিরসরাই বঙ্গবন্ধু শিল্পাঞ্চল, আনোয়ারা ইকোনোমিক জোনসহ বিভিন্ন মেগা প্রজেক্ট বাস্তবায়ন করছে। ফলে চট্টগ্রামে দেশি-বিদেশী বিনিয়োগ বৃদ্ধি পেয়ে চট্টগ্রাম এই অঞ্চলের ব্যবসায়িক হাব হিসেবে পরিণত হবে।
নতুন উদ্যোক্তাদেরকে শিল্পের বিকাশ ও প্রযুক্তিগত উৎকর্ষ সাধনে যুগোপযোগী প্রযুক্তি ব্যবহার ও ডিজাইনিং, প্রোডাক্ট ও মার্কেট ডাইভারসিফিকেশনে সক্ষমতা বৃদ্ধির উপর গুরুত্বারোপ করে তিনি বলেন- প্রতিযোগীতামুলক বিশ্ববাজারে টিকে থাকার লক্ষ্যে অধিক সচেতনতা ও বিচক্ষণতার সাথে কার্যক্রম পরিচালনা করে বর্তমান চ্যালেঞ্জগুলোকে সম্ভাবনায় পরিণত করতে সকলকে সম্মিলিতভাবে কাজ করার আহবান জানান।
বিজিএমইএ’র সহ-সভাপতি রাকিবুল আলম চৌধুরী বলেন- বাংলাদেশের পোশাক শিল্প নিরাপদ পরিবেশ বান্ধব ও কমপ্লায়েন্ট হওয়ার কারণে বিশ্ব বাজারে প্রশংসিত হলেও চলমান বৈশ্বিক অর্থনৈতিক মন্দায় মুদ্রাস্ফীতির কারণে আমাদের পোশাক শিল্প সংকটময় পরিস্থিতি অতিক্রম করছে। নতুন নতুন মার্কেট অনুসন্ধানের মাধ্যমে রপ্তানি বৃদ্ধিতে নতুন পোশাক শিল্প প্রতিষ্ঠান সমূহ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে মর্মে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন। এছাড়াও রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে নতুন পোশাক শিল্প প্রতিষ্ঠানের মালিকবৃন্দদের সাথে নিয়ে সমন্বিতভাবে কার্যক্রম পরিচালনার উপর তিনি গুরুত্বারোপ করেন।
সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন- বিজিএমইএ’র পরিচালক আবদুল্লাহ হিল রাকিব, প্রাক্তন প্রথম সহ-সভাপতি এরশাদ উল্লাহ ও জনাব এস.এম. আবু তৈয়ব, বিজিএমইএ’র প্রাক্তন পরিচালক সৈয়দ মোহাম্মদ তানভীর, বিজিএমইএ ফরেন মিশন সেল বিষয়ক স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান শামস মাহমুদসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।
উল্লেখ্য, বর্তমানে নতুন স্থাপিত প্রতিষ্ঠান সমূহসহ চট্টগ্রাম অঞ্চলে বিজিএমইএ সদস্য সংখ্যা ৬৫৮টি।
 
				












